Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অবৈধ সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে মায়ের হাতে প্রাণ গেল মাত্র পাঁচ বছরের এক কন্যাসন্তানের (karnataka)। নিত্যদিন অকথ্য নির্যাতনের পর অবশেষে জীবিত অবস্থায় নদীতে ছুড়ে ফেলা হয় তাকে। কর্ণাটকের হাভেরি জেলা কেঁপে উঠেছে এই মর্মান্তিক ঘটনায়।
কোথায় ঘটেছে (karnataka)
হাভেরির রানেবেন্নুর তালুকে অভিযুক্ত জ্যোতি ও তাঁর প্রেমিক আন্নাপ্পা বসবাস করতেন (karnataka)। খবর সূত্রে জানা যায়, পুলিশ আধিকারিক যশোদা ভান্তাগোডি জানান, ২ আগস্ট তারা পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে বেধড়ক মারধর করে। হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি ফুটন্ত জল মুখে ঢেলে দেওয়া হয়। যন্ত্রণায় কাতরালেও হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। দু’দিন ঘরে আটকে রাখার পর অবশেষে জীবিত অবস্থাতেই তাকে নিক্ষেপ করা হয় তুঙ্গভদ্রা নদীতে।
৮ আগস্ট নদীর তীরে ভেসে ওঠে ছোট্ট দেহ। ময়নাতদন্তে শিশুটির উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রমাণ মেলে। মেয়ে হারানো বাবা মঞ্জুনাথ অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জ্যোতি ও আন্নাপ্পার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সম্পর্কের টানেই সন্তানকে ত্যাগ! (karnataka)
তদন্তে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। জ্যোতির তিন সন্তান ছিল। কিন্তু প্রেমিক আন্নাপ্পার টানে স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে শুধু ছোট মেয়েকে নিয়ে তিনি চলে যান প্রেমিকের কাছে। পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের কাছে শিশুটি মায়ের অবৈধ সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেয়। সেই থেকেই শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত সেই নির্যাতনই কেড়ে নেয় তার প্রাণ।
সমান্তরাল চিত্র তেলেঙ্গানায়? (karnataka)
খবর সূত্রে জানা যায়, কর্ণাটকের ঘটনার ছায়া মিলেছে তেলেঙ্গানার মেদাক জেলাতেও। গত মার্চ মাসে এক তরুণী প্রেমিকের সঙ্গে গৃহত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ফিরে এসে আবার মে মাসে পালিয়ে যান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে আনে। তখনই ধরা পড়ে, ওই তরুণী নিজের দুই বছরের শিশুকন্যাকে খুন করে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছেন।
খবর সূত্রে জানা যায়, তরুণীর স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে , সম্পর্কের একমাত্র বাধা ছিল তার সন্তান। তাই তাকে হত্যা করে প্রেমিকের সঙ্গে নতুন জীবনে পা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং প্রেমিকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে।