ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রশাসন বিদেশি সহায়তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে দাবি করেছে যে, গাজা উপত্যকায় কনডম বিতরণের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল (Condoms In Gaza)। তবে তারা এই দাবির স্বপক্ষে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
জানালেন লেভিট (Condoms In Gaza)
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন (Condoms In Gaza), “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের তথ্য সামনে আসে।”
এলন মাস্কের ‘সরকারি দক্ষতা’ প্রকল্পে এই তথ্য উঠে আসে
কী বলেছেন লেভিট? (Condoms In Gaza)
ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রযুক্তি ব্যবসায়ী এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” বিভাগ এই খরচের সন্ধান পায় (Condoms In Gaza)।
তিনি বলেন, “আমাদের বাজেট অফিস খুঁজে পেয়েছে যে গাজায় কনডম বিতরণের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। এটি একেবারেই অযৌক্তিক এবং করদাতাদের অর্থের অপচয়।”
তবে তিনি এই দাবির স্বপক্ষে কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি, এবং স্বাধীনভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বাস্তব চিত্র
গাজায় মার্কিন সহায়তা এবং বাস্তব চিত্র ঠিক কেমন?
• গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি কনডমের দাম ১ ডলারের কম।
• গাজায় বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস, এবং গত ১৫ মাস ধরে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অঞ্চলটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা বন্ধও ঘোষণা করল ট্রাম্প প্রশাসন
কেবল গাজায় সহায়তা বন্ধই নয়, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO) ৩৭ মিলিয়ন ডলারের অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন: Elon Musk: স্পেস স্টেশনে আটকে থাকা দুই মার্কিন নভোচারীকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিলেন এলন মাস্ক
ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ৯০ দিনের জন্য সকল বিদেশি সাহায্য স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
নতুন পর্যালোচনার ঘোষণা: ‘আদর্শগত নীতির সঙ্গে মিল রাখতে হবে সহায়তা’
ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে বিদেশি সহায়তা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এই সহায়তা মার্কিন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, তা নিশ্চিত করতে তারা নতুন পর্যালোচনা করবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান:
• তারা গর্ভপাত-বিরোধী নীতি সমর্থন করে।
• তারা ট্রান্সজেন্ডার অধিকার ও বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কর্মসূচির বিরোধী।
মার্কিন বিদেশ দফতরের নির্দেশ
শুক্রবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি নির্দেশনামূলক স্মারক জারি করেন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন প্রায় সব ধরনের সাহায্য স্থগিত রাখছে। তবে জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং মিশর ও ইজরায়েলের সামরিক সহায়তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
আরও পড়ুন: Doomsday Clock: ডুমসডে ক্লকে রাত ১২টা বাজতে বাকি মাত্র ৮৯ সেকেন্ড, পৃথিবী ধ্বংসের সবচেয়ে কাছাকাছি
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া: গভীর উদ্বেগ
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতিয়েরেস মার্কিন সহায়তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এতদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহায়তাদাতা ছিল। এই সিদ্ধান্তে বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
নীতির পরিবর্তন
এই সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রশাসনের নীতির পরিবর্তন স্পষ্ট হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই সহায়তা বন্ধের প্রভাব গাজা এবং অন্যান্য দরিদ্র দেশগুলোর উপর কেমনভাবে পড়ে।
