ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ের মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার (Kashmir Terror Attack) রেশ কাটতে না কাটতেই দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। ঘটনার পরেই ভারত সরকারের তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ঠিক সেই সময়েই পাকিস্তানের করাচি উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তোড়জোড় ঘিরে বাড়ছে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা (Kashmir Terror Attack)
এএনআই-এর সূত্র অনুযায়ী, করাচির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই (Kashmir Terror Attack) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হতে পারে আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার। ভারতের অভিযোগ, এই পদক্ষেপ আসলে একটি কৌশলগত প্রদর্শন, যা জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ভারতের পাল্টা কড়া অবস্থানের জবাব হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত (Kashmir Terror Attack)
এর আগেই, দিল্লির ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কমিটি (CCS)-র উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে, পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে চাপে রাখার জন্য। বৈঠক শেষে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত ভারতের তরফে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখা হবে।
দূতাবাসের কর্মীসংখ্যাও কমিয়ে আনা হচ্ছে
এর পাশাপাশি আটারী-ওয়াঘা সীমান্তের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। পাকিস্তানি নাগরিকদের যাঁরা অতীতে ‘সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্প’-এর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ভিসা বাতিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, পাকিস্তানের সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ভারতের ইসলামাবাদ দূতাবাসের কর্মীসংখ্যাও কমিয়ে আনা হচ্ছে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্তকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল উত্তেজনা বাড়ায় না, বরং তা দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনাও উসকে দেয়।
ভারতের স্পষ্ট বার্তা
ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা এসেছে—কাশ্মীরের ভূমিতে রক্ত ঝরালে তার মাশুল দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সরাসরি বলেছেন, “ভারতের আত্মায় আঘাত করেছে যারা, তারা কল্পনাতীত শাস্তির মুখে পড়বে।”
আরও পড়ুন: Pahalgam Attack: জঙ্গিকে আসতে দেখেই কলমা পড়ে প্রাণ রক্ষা অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্যের
এই মুহূর্তে উপমহাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কূটনৈতিক চাপ, সামরিক প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদারের মধ্য দিয়ে দুই দেশই যেন পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এখন দেখার, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়—শান্তির বার্তা না কি আরও সংঘাতের সুর।