ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফেসবুকের বন্ধুত্বই হল মরণফাঁদ! (Kestopur murder) কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। মাত্র চার ঘণ্টায় খুনের কিনারা করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার মৃতার ফেসবুক ফ্রেন্ড (Kestopur murder)।
কি ঘটেছিল? (Kestopur murder)
শুক্রবার রাতে কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা অভিষিক্তা দে সাহার রহস্যমৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লির (Kestopur murder) AE ২৪৭ নম্বর ফ্ল্যাটে তিনতলায় নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বুদ্ধদেব সাহা। অফিস থেকে ফিরে ঘরের তালা খুলে বিছানায় স্ত্রীর মৃতদেহ দেখতে পান স্বামী। নিজের ঘরের ভেতরে খাটের উপর গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়েছিল অভিষিক্তা দে সাহার দেহ। অভিষিক্তা একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবেশীরা সকলে জড়ো হয়ে যান ফ্ল্যাটের সামনে। খবর পাঠানো হয় বাগুইআটি থানায়।
গ্রেফতার অভিযুক্ত (Kestopur murder)
এরপর ঘটনার তদন্তে নামে বাগুইআটি থানার পুলিশ (Kestopur murder)। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। যেই আবাসনে অভিষিক্তা থাকতেন সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেখানকার আবাসিকদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।
পরে মহিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরেই এগিয়েছিল তদন্ত। তারপর এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে রাতেই অভিযুক্ত কৌশিক সাহা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ফেলে বাগুইআটি থানার পুলিশ। শনিবার আদালতে তোলা হয়েছে কৌশিককে। নেওয়া হয়েছে পুলিশি হেফাজতে।
ফেসবুক প্রেমের মর্মান্তিক পরিণতি!
শুক্রবার গভীর রাতে নাগেরবাজারের মুড়িগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত কৌশিক সাহাকে। সূত্রের খবর জেরায় কৌশিক জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মৃতার পরিচয় ফেসবুক সূত্রে।
আরও পড়ুন: Murshidabad News: ৬০ দিনেই ধর্ষণ-খুনের সাজা, জয়নগরের পর বিচার পেল ফারাক্কা
অভিষিক্তার ৭ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কয়েক মাস আগেই তাঁর ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল কৌশিকের সঙ্গে। প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম। কিন্তু পরে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন অভিষিক্তা। এরপরেই প্রতিশোধ নিতে ‘প্রেমিকা’-কে খুন করে কৌশিক।
কি ভাবে খুন?
শুক্রবার সকালে অভিষিক্তার স্বামী কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর মহিলার বাড়িতে আসেন প্রেমিক কৌশিক। দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর মহিলাকে খুন করে ওই যুবক। বেলার দিকে তাঁর স্বামী একাধিকবার স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু অভিষিক্তা ফোন না ধরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব। ফিরে দেখেন ফ্ল্যাট তালা বন্ধ। দরজা খুলেই স্ত্রীর নিথর দেহ দেখতে পান বুদ্ধদেব।