ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবের আশঙ্কায়, কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অঞ্চলে হাওয়ার উচ্চ গতিবেগ এবং অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)-র আধিকারিক বুধবার বলেছেন, সকল যাত্রী, বিমান সংস্থার কর্মচারী, বিমানবন্দরের বিভিন্ন সরঞ্জাম, ন্যাভিগেশনাল সরঞ্জাম এবং বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-র একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারী বাতাস এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কারণে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল নয়টা পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।
আরও পড়ুন: ‘দানা’র দাপটে বন্ধ ট্রেন-ফেরি চলাচল, শাট-ডাউন বিমানবন্দর
আইএমডি জানিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় দানা শুক্রবার ভোরের দিকে বাংলার প্রতিবেশি রাজ্য ওড়িশার ভিতরকানিকা জাতীয় উদ্যান এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলাকালীন ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর ডঃ প্রভাত রঞ্জন বেউরিয়া পিটিআইকে জানিয়েছেন, “যাত্রী এবং বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, ATC, CNS (যোগাযোগ, নেভিগেশন এবং নজরদারি বিভাগ), AOC (বিমানবন্দর অপারেটর কমিটি)-এর চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যান সহ সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা সর্বসম্মতভাবে অপারেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন”।
বিমানবন্দরের মেট ডিরেক্টর বলেছেন যে বাতাসের গতিবেগ হবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার হবে এবং কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, সর্বোচ্চ প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে
তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের সময় তীব্র ক্রসউইন্ড হবে বলে আমরা মনে করছি। এই ধরনের আবহাওয়ায় বিমানের টেক অফ এবং অবতরণ খুবই কঠিন”।
এছারাও, বাতাসের দ্রুত গতির কারণে কিছু ন্যাভিগেশনাল এইড বন্ধ করতে হতে পারে বলে বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানিয়েছেন।
কলকাতা বিমানবন্দর প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি ওঠা এবং নামা পরিচালনা করে।
১৫ ঘন্টা অপারেশন বন্ধ থাকার সময়সীমার মধ্যে থাকা বিমানগুলির উড়ান বাতিল করা বা সময় বদলানোর কাজ সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলিকে করতে হবে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি যেমন বিমানবন্দরের পরিকাঠামো পরিদর্শন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সমস্ত ইনস্টলেশনের চেকিং এবং সার্ভিসিং করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কে মন্ডল বলেন, সেখানে বিমানবন্দর খোলা থাকবে এবং সব কাজ তাদের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।
ইন্ডিগো তাদের এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্টের মাধ্যমে যাত্রীদের জানিয়েছে যে কলকাতা এবং ভুবনেশ্বরের উড়ান প্রভাবিত হতে পারে।