ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ গ্রিড বিপর্যয়ের মতো (Kolkata Metro Rail) বড় ধরনের বিপত্তি মোকাবেলার জন্য নতুন একটি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।
ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (Kolkata Metro Rail)
বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (বি ই এস এস) স্থাপনের (Kolkata Metro Rail) মাধ্যমে মেট্রো কর্তৃপক্ষ সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ট্রেনগুলোকে নিকটবর্তী স্টেশনে টেনে আনার পরিকল্পনা করেছে। এই প্রকল্পে বহুমূল্য ব্যাটারি ও ইনভার্টার বসানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে লিথিয়াম আয়ন ফসফেট ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎকে উচ্চ ক্ষমতার ইনভার্টারের মাধ্যমে পরিবর্তিত করে থার্ড রেলে পাঠানো হবে।
ব্যাটারি আমদানি করা হবে (Kolkata Metro Rail)
এই ব্যাটারি সিস্টেমের আওতায় কলকাতা মেট্রোতে (Kolkata Metro Rail) সাতটি ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বসানো হবে, যা প্রতি ইউনিটে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। প্রাথমিকভাবে একটি তাইওয়ানিজ সংস্থার মাধ্যমে মার্চ মাসের মধ্যে ব্যাটারি আমদানি করা হবে। এছাড়াও, দেশীয় অংশীদারের কাছ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইনভার্টার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
কলকাতায় এই প্রথম
মেট্রো কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, কলকাতা মেট্রো এই ব্যবস্থাকে প্রথম চালু করছে ভারতে, তবে এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন ও বর্তমান কিছু কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, গত ১৩ বছরে ভারতে বড় কোন গ্রিড বিপর্যয় ঘটেনি, ফলে এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার পরেও এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার কি মানে আছে?
কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়
মেট্রোর প্রাক্তন কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, যে যন্ত্রপাতি কিনতে এত খরচ হচ্ছে, তার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদি থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হয়, তবে ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ পাঠানো সম্ভব হবে না। ফলে, সমস্যা সমাধানের জন্য এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি
অন্যদিকে, মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ব্যাটারি সিস্টেম শুধুমাত্র বিপর্যয়ের সময় ট্রেন উদ্ধার করতে নয়, বরং সুড়ঙ্গে বায়ু চলাচল ও পাখাগুলি চালানোর ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে। ব্যাটারি থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুতের সরবরাহ একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে আসবে না, যা বিদ্যুতের সাশ্রয়েও সহায়ক হবে।
বিভিন্ন স্টেশনে জেনারেটর স্থাপন
তবে, আধিকারিকদের একাংশ মনে করেন, বর্তমানে বিভিন্ন স্টেশনে জেনারেটর স্থাপন করা হচ্ছে এবং প্রযুক্তিগতভাবে ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায় না। ব্যাটারি চার্জ করতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়, তা ব্যাটারি থেকে ফেরত পাওয়া বিদ্যুতের চেয়ে বেশি। ফলে, ব্যাটারি কেনার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।