ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে স্নান(Kumbha Snan) করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেদিন অমৃত স্নানের কোনও তিথি নেই তবুও কেন এই দিনটিই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী? অবশ্যই রয়েছে এই দিনের কোনো বিশেষ মাহাত্ম্য। জেনে নিন এই বিশেষ তারিখের কী মাহাত্ম্য।
প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর মহাকুম্ভ (Kumbha Snan)
প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভের(Kumbha Snan)। কুম্ভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অমৃতস্নান মৌনি অমাবস্যা পালিত হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। এরপর বসন্ত পঞ্চমী এবং মহাশিবরাত্রিতেও রয়েছে অমৃত স্নানের তিথি। জানা যাচ্ছে ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই একই দিনে হবে দিল্লির নির্বাচন। সেদিন কোনও অমৃত স্নানের তিথি নেই। তবুও অমৃত স্নান বা শাহী স্নান ছেড়ে ৫ ফেব্রুয়ারিতে কুম্ভে স্নান করবেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর স্নানের জন্য সবরকম প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
গুপ্ত নবরাত্রির অষ্টমী তিথি (Kumbha Snan)
বৈদিক পঞ্জিকা অনুসারে ৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে মাঘ গুপ্ত নবরাত্রির অষ্টমী তিথি(Kumbha Snan)। ধর্মীয় দিক থেকে এই দিনটি অত্যন্ত শুভ। ধ্যান ও সাধনা করার জন্য় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল মাঘ গুপ্ত নবরাত্রির অষ্টমী। গুপ্ত নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার নয় রূপের আরাধনা করেন সাধকরা। গৃহী সংসারী জীবনে গুপ্ত নবরাত্রির খুব একটা প্রচলন নেই। সাধক সম্প্রদায় এই সময় অন্যদের চোখের আড়ালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন বলে একে গুপ্ত নবরাত্রি বলা হয়। সাধকেরা বিভিন্ন জায়গায় দেবী আরাধনায় মত্ত থাকেন এইসময়।
আরও পড়ুন:Mercury Transit: ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে বুধ, অর্থ সংকটে ৫ রাশি
কী ফল লাভ হয়?
শাস্ত্র অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে গঙ্গা স্নান করলে মুক্তি পাওয়া যায়(Kumbha Snan)। এদিন প্রয়াত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করলে তাঁদের আত্মা শান্তি পায়। পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জল, তিল, গোটা চাল, ফল ও ফুল নিবেদন করলে তাঁদের আশীর্বূাদ লাভ করা যায়। জীবনে পরবর্তী কোনো কাজে বাধা আসেনা। সংসারের সমস্ত কাজে সুফল পাওয়া যায়। ভগবানের কৃপা দৃষ্টি সবসময় বর্ষিত হয় তাঁর উপর যিনি এইদিন গঙ্গাস্নান করবেন তাঁর উপর।
আরও পড়ুন:Dream Meaning: স্বপ্নে দেখছেন গরু? জানুন কী ঘটবে জীবনে
ভীষ্ম অষ্টমী
এই দিনটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহাত্ম্য রয়েছে। মহাভারত অনুসারে এই দিনই স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেছিলেন ভীষ্ম। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শরশয্যায় শুয়ে সূর্যের উত্তরায়নে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন ভীষ্ম। সূর্য উত্তরায়নে যাওয়ার পর শুক্লপক্ষ শুরু হলে মাঘ শুক্লা অষ্টমী তিথিতে প্রাণ বিসর্জন করেন ভীষ্ম। সেই কারণে এই তিথি ভীষ্ম অষ্টমী নামেও পরিচিত।