ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ফের মৃত্যু হল এক আফ্রিকান চিতার। মৃত চিতাটির নাম নভা, বয়স ছিল আট বছর (Kuno Cheetah Died)। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, নিজের ঘেরাটোপে শিকার করার সময় আহত হয়েছিল নভা। সেই আঘাতই হয়ে উঠল মৃত্যুর কারণ। এ ঘটনায় ফের উদ্বেগ ছড়িয়েছে চিতা পুনর্বাসন প্রকল্প ঘিরে।
কীভাবে ঘটল মৃত্যুর ঘটনা? (Kuno Cheetah Died)
বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নভার বাঁ দিকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং শরীরে ছিল একাধিক ক্ষত(Kuno Cheetah Died)। এক সপ্তাহ ধরে প্রাণপণ চেষ্টা করেও প্রাণ বাঁচানো যায়নি। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়, তবে আঘাতজনিত জটিলতাই মূল কারণ বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
বর্তমানে কুনোতে কত চিতা? (Kuno Cheetah Died)
নভার মৃত্যুর পরে এখন কুনো জাতীয় উদ্যানে রয়েছে মোট ২৬টি চিতা(Kuno Cheetah Died)। এর মধ্যে রয়েছে,-
- ৬টি স্ত্রী চিতা
- ৩টি পুরুষ চিতা
- ১৭টি শাবক, যাদের জন্ম হয়েছে ভারতের মাটিতেই।
দফতরের মতে, বাকি চিতারা আপাতত সুস্থ রয়েছে। বিশেষ করে দুটি মা চিতা বীরা এবং নিরভা এবং তাদের সদ্যোজাত সন্তানরাও সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
কবে, কীভাবে এল চিতারা ভারতে? (Kuno Cheetah Died)
ভারতে বহু দশক আগে চিতা প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রজাতি পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আনা হয় পাঁচটি স্ত্রী ও তিনটি পুরুষ চিতা। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয় কুনোয়(Kuno Wildlife Sanctuary)।

আগেও ঘটেছে মৃত্যু (Kuno Cheetah Died)
চিন্তা বাড়াচ্ছে এটাই যে, এর আগেও কয়েকটি চিতার মৃত্যু হয়েছে কুনোতে(Kuno Cheetah Died)। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ভারতের আবহাওয়া ও পরিবেশে এই আফ্রিকান চিতারা ঠিক কতটা মানিয়ে নিতে পারছে? তবে বন দফতর এই আশঙ্কা খারিজ করেছে। তাদের দাবি, অধিকাংশ চিতা কুনোর পরিবেশের সঙ্গে সফলভাবে মানিয়ে নিয়েছে, শিকার ধরছে নিয়মিত এবং অন্য শিকারী প্রাণীর সঙ্গেও সহাবস্থান গড়ে তুলেছে।

আরও পড়ুন: CJI BR Gavai : ভারতের বিচারব্যবস্থাকে সংস্কারের ডাক প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের!
বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি (Kuno Cheetah Died)
তবে পরিবেশবিদদের একাংশের মতে, চিতাদের জন্য নির্ধারিত জায়গার পরিধি সীমিত হওয়ায় তারা যথাযথভাবে বিচরণ করতে পারছে না। পাশাপাশি, আবহাওয়া এবং খাদ্য শৃঙ্খলের ভিন্নতাও চাপ তৈরি করছে।
নভার মৃত্যু কুনো চিতা পুনর্বাসন প্রকল্পে নতুন করে আশঙ্কার সুর তোলে। যদিও বাকি চিতারা সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকলেও, এমন পরিণতির পুনরাবৃত্তি হলে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন দেখা দেবে বলেই মনে করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এখন সকলের নজর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে। সেটিই বলবে, কুনো প্রকৃতপক্ষে কতটা নিরাপদ এই চিতাদের জন্য।