Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহারাষ্ট্রের বুলধনা জেলায় অবস্থিত লোনার হ্রদ (Lonar Lake) একটি রহস্যময় ও বিস্ময়কর প্রাকৃতিক স্থান। এই হ্রদটি দেখতে সাধারণ জলাশয়ের মতো মনে হলেও এর উৎপত্তি এবং বৈশিষ্ট্য এটিকে দেশের অন্যান্য জলাশয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তুলেছে।
হ্রদের উৎসস্থল (Lonar Lake)
প্রায় ১.২ কিলোমিটার ব্যাপ্তি এবং ১৩৭ মিটার গভীরতাবিশিষ্ট এই (Lonar Lake) হ্রদটি হাজার হাজার বছর আগে উল্কাপাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। শুরুতেই এটি জলাশয় ছিল না, বরং এটি ছিল একটি গভীর ও প্রশস্ত গহ্বর। সময়ের সাথে সাথে তাতে জল জমতে জমতে এই হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কিছু গবেষকের মতে, এই গহ্বরের সৃষ্টি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলেও হতে পারে। এই হ্রদের জল যথেষ্ট নোনা এবং এতে ক্ষারের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।
চলছে গবেষণা (Lonar Lake)
লোনার হ্রদ ভূতত্ত্ববিদ, বাস্তুতন্ত্রবিদ এবং গবেষকদের কাছে অত্যন্ত (Lonar Lake) আকর্ষণীয় একটি বিষয়। আইআইটি বম্বে থেকে এই হ্রদ নিয়ে একাধিক গবেষণা করা হয়েছে এবং এর জলের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। হ্রদের অদূরেই রয়েছে প্রাচীন গোমুখ মন্দির, যা এই স্থানের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: Odisha Sea Beach: শুধু দিঘা পুরী কেন? ঘুরে দেখুন ওড়িশার এই সমুদ্র উপকূলগুলি
দারুণ দৃশ্য
মহারাষ্ট্রের বুলধনা জেলার দূরত্ব ঔরঙ্গাবাদ (বর্তমানে সম্ভাজিনগর) থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এবং মুম্বই থেকে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার। যদিও এই স্থানটি পর্যটকদের মধ্যে ততটা জনপ্রিয় নয়, তবে প্রকৃতিপ্রেমী এবং রহস্য অন্বেষণকারীদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। ঔরঙ্গাবাদ থেকে সড়কপথে প্রায় তিন ঘণ্টার যাত্রা পথে লোনার হ্রদে পৌঁছানো যায়। যদিও রাস্তার অবস্থা খুব ভালো নয়, তবুও এই হ্রদের সৌন্দর্য এবং রহস্য উপভোগ করতে অনেকেই এখানে আসেন।
আছে আরও কিছু
লোনার হ্রদ থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে রয়েছে আরেকটি জলাশয়, যার নাম অম্বর হ্রদ। ধারণা করা হয়, উল্কার ছোট টুকরো ছিটকে এই হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। হ্রদের কাছাকাছি রয়েছে হনুমান মন্দির, যা এই স্থানের ধর্মীয় গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বেড়ানোর জায়গা
লোনার হ্রদের পাশাপাশি বুলধনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান। লোনার হ্রদের কাছেই রয়েছে প্রাচীন গোমুখ মন্দির, যার ভিতরে একটি কুণ্ড রয়েছে। এছাড়াও ঘুরে দেখতে পারেন গজানন মহারাজের নামাঙ্কিত ধর্মীয় স্থান, বালাজি মন্দির এবং কমলজা দেবী মন্দির।
