ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ (Maha Kumbh 2025)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের এই যোগ স্থাপিত হয়েছে। এই জীবনে এটাই প্রথম ও শেষ মহাকুম্ভ মেলা। আর এই মহাকুম্ভ মেলায় দেখা পাওয়া যায় নাগা সন্ন্যাসীদের। যাদের শরীরে বস্ত্র একেবারেই থাকে না। সর্বস্ব ত্যাগ করে নাগা হওয়া কি এতটাই সহজ?
নাগা হওয়ার পর্যায়ক্রম (Maha Kumbh 2025)
নাগা হওয়ার তিনটি পর্যায়ক্রমে (Maha Kumbh 2025) আছে। মহাপুরুষ, আদভূত, দিগম্বর। এই তিনটে পর্যায় অতিক্রম করলেই হওয়া যায় নাগা সন্ন্যাসী। এই তিনটে পর্যায়েই মেনে চলতে হয় কঠিন নিয়ম। মানতে হয় গুরুর আদেশ।
প্রথম পর্যায় (Maha Kumbh 2025)
সাধনায় ব্রতী হতে গেলে প্রথমেই একজন (Maha Kumbh 2025) গুরুর দরকার হয়। গুরুর শরণাপন্ন হয়ে প্রথমে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তারও আগে আখাড়ায় এসে আবেদন করতে হয়। আখাড়া থেকে সেই আবেদন অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। আবেদন পাবার পর শিক্ষার্থীদের পারিবারিক পটভূমি নিরীক্ষণ করা হয়। অপরাধের রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়। এসবের পরে গুরুর আদেশ মেনে শারীরিক ও মানসিক কামনা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, পরিবারের মোহ কাটাতে হয়। এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে আর নাগা সন্ন্যাসী হওয়া যায় না। এই পর্যায়ে পাশ করলে তাকে মহাপুরুষ উপাধি দেওয়া হয়। এরপর পাঁচ সংস্কার প্রক্রিয়া মেনে শিব, বিষ্ণু, শক্তি, সূর্য, গণেশকে গুরু হিসেবে গ্রহণ করে তাকে শ্যামল রঙের কাপড় ও রুদ্রাক্ষ দেওয়া হয়। তার চুল কেটে ফেলা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়
আদভূত পর্যায়ে এসে তাকে জীবনের অন্যতম কঠিন কাজটি করতে হয়। তাকে মোট ১৭টি পিণ্ডদান করতে হয়। স্নান সেরে শুচি বস্ত্র পরিধান করতে হয়। তারপর ১৬টি পিণ্ডদান করতে হয় নিজের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে, আর আপনি জানলে অবাক হবেন ১৭ নম্বর পিণ্ডটি দান করতে হয় নিজের উদ্দেশ্যে। এরপরই জগতের সকল বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। ভাবলে অবাক হতে হয় নিজের নামে পিণ্ডদানের বিষয়টির নিগূঢ় অর্থ ঠিক কতটা।
আরও পড়ুন: Astro Tips: শুক্রের সম্পদের দিক উত্তরমুখী স্থান পরিবর্তন, লাভবান হতে চলেছে ৩ রাশি
সর্বশেষ পর্যায়
এই পর্যায়ে এসে তাকে দিগম্বর বলে আখ্যা দেওয়া হয়। দিগম্বর কথার আকাশকে পরিধান করেন যিনি। এই পর্যায়ে এসে শারীরিক জৈবিক প্রক্রিয়ায় কাম নিয়ন্ত্রণের কাজটি করতে হয়। সাধুর শরীরের স্নায়ু টানা হয়। অর্থাৎ লিঙ্গ থেকে স্নায়ু টেনে নিলে তাদের শরীরে কামের কোনওকিছুই থাকে না।
এই পর্যায়গুলো পেরিয়েই হতে হয় নাগা সন্ন্যাসী। জানাই গেলো সন্ন্যাসী হওয়া মুখের কথা নয়। তার জন্য লাগে সাধনা, ত্যাগ করতে হয় শরীরের ষড়ঋপুকে।