ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহাভারতের ভীষ্মের কথা মনে আছে? কিভাবে অর্জুনের তীরে বিদ্ধ হয়ে তীর বিছানো শয্যায় শুয়েছিলেন। নিজের মৃত্যুর জন্য সেই বিছানায় শুয়েই তপস্যা করেছিলেন টানা ৫৮ দিন ধরে। মহাকুম্ভের মেলাতেও(Maha Kumbha 2025) এবার দেখা মিলল ভীষ্ম স্বরূপ এক বাবার। যিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’ নামে।
মহাকুম্ভে নতুন আকর্ষণ ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা'(Maha Kumbha 2025)
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে(Prayagraj) চলছে মহাকুম্ভর মেলা(Maha Kumbha 2025) । মহাকুম্ভের মেলাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে প্রয়াগরাজ। চার দিনে পা দিয়েছে এই মহাকুম্ভের মেলা। গঙ্গা, সরস্বতী ও যমুনার ত্রিবেণী মহাসঙ্গমের তীরে ফিরেছে কুম্ভ। ভিড় জমিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। দেশের দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন সাধু, নাগা সন্ন্যাসী ও অঘোরীরাও। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ। এবার মেলায় আসা পূর্ণার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছেন ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’।
কে এই কাঁটা ওয়ালা বাবা?(Maha Kumbha 2025)
মহাকুম্ভর মেলার(Maha Kumbha 2025)এই ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’র আসল নাম রমেশ কুমার মাঝি। তবে সাধারণের কাছে তিনি ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’। হাতে রয়েছে ডুগডুগি। ইতিমধ্যে ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’র তপস্যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তাঁকে ঘিরে ভিড় জমাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। নিচ্ছেন তাঁর থেকে আশীর্বাদও।
আরও পড়ুন : Farmers Protest: পরনে কালো পোশাক, শুরু হল আমরণ অনশন
কী কারণের এত জনপ্রিয়তা?
মহাকুম্ভের মেলায় ইতিমধ্যেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’ নাম। সারাদিন নিজের সারাদিনই তপস্যা করেন তিনি। ভাবছেন নিশ্চয়ই এতে নতুনত্ব এমন কি আছে ? কারণ সাধু-সন্ন্যাসী মানেই তো সারাদিন তপস্যা চালানোর মতো একটা ব্যাপার। কিন্তু এই তপস্যা আর সকলের মতো নয়। বরং একটু অন্যরকম ভাবেই চলে ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’র তপস্যা। সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ঢাকা। সারাদিনই কাঁটার ওপর শুয়ে থাকেন তিনি। সারাদিন বলাটা ভুল,দিনের পর দিন সেই ভাবেই কাটিয়ে দিন তিনি।
আরও পড়ুন : Delhi Excise Policy Scam: ইডিকে বড় অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের, দিল্লিতে নির্বাচনের মুখে বিপাকে আপ
৪০-৫০ বছর ধরেই এই ভাবে তপস্যা!
মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) আসা অনেক সাধুই নজর কেড়েছে মিডিয়ার। কেউ মাথায় রুদ্রাক্ষ জড়িয়ে আছেন তো আবার কেউ মাথায় ধান গাছ নিয়ে ঘুরছেন। কিন্তু এখন নজর কেড়েছে এই ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’। তবে এই রকম কাঁটা বিছানো ‘সিংহাসনে’ বসে কোনও বেদনা হয় না বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘গত ৪০-৫০ বছর ধরেই এই ভাবে তপস্যা করে চলেছি। আর এতে আমার শরীর কোনও কষ্ট হয় না, উল্টে বেশ আরাম পাই। সারাদিন এই কাঁটা বিছানো আসনে তপস্যা করে যে টুকু দক্ষিণা পাই, তার মধ্যে অর্ধেকটা দান করে, অর্ধেকটায় নিজের খরচ চালিয়ে থাকি।’