ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ট্যাব দুর্নীতি কান্ডের অন্যতম গ্রেফতার মূল মাথা (Main Accused In Malda Tab Scam)। সরকারের পোর্টাল হ্যাক করে অ্যাকাউন্ট নাম্বার চেঞ্জ করে টাকা আত্মসাৎ। জেরায় উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। এই ঘটনায় জড়িত আরও দু’জন, দাবী ধৃতের। সমগ্র ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ প্রধান শিক্ষকের। তবে কি স্কুলের কেউ? নাকি সর্ষের মধ্যেই ভূত? উঠছে প্রশ্ন।
গ্রেফতার মূল চক্রী! (Main Accused In Malda Tab Scam)
এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের (Harishchandrapur) কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের (Kanua Bhawanipur High School) ট্যাব দুর্নীতির অন্যতম মূল মাথাকে গ্রেফতার করল হরিশ্চন্দ্রপুর (Main Accused In Malda Tab Scam) থানার পুলিশ। ইসলামপুর (Ishlampur) থানার পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। ধৃতের নাম মহম্মদ মোবারক হোসেন। তার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে।
ধৃতের থেকে বাজেয়াপ্ত সামগ্রী (Main Accused In Malda Tab Scam)
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯৫টি সিম কার্ড, ৬৫টি এটিএম, বেশ কয়েকটি পেনড্রাইভ, দু’টি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ। উদ্ধার হওয়া জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মূলত মালদা (Malda) জেলার যে তিনটি স্কুলে ট্যাব দুর্নীতি (Main Accused In Malda Tab Scam) সামনে এসেছিল। তার মধ্যে রয়েছে কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুল। এখানে ৩৫ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা ঢুকে যায় অন্য অ্যাকাউন্টে।
আরও পড়ুন: Murshidabad News: খেলতে গিয়ে নিখোঁজ নাবালক, পুকুর পারে গিয়ে ‘থ’ বাড়ির লোক
ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা (Main Accused In Malda Tab Scam)
এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় এবং অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও সেই সময় প্রধান শিক্ষক ক্লার্কের উপর দায় চাপিয়ে ছিলেন।
তদন্তে পুলিশ
শুরু হয় সমগ্র ঘটনার তদন্ত। হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানার সাব ইন্সপেক্টর অজয় সিং যিনি সাইবার বিভাগের কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত। তিনি তদন্তের দায়িত্বভার পান। তদন্ত নেমে সামনে আসে বেশ কিছু তথ্য। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে নম্বর যেখান থেকে পরিবর্তন করা হয়েছিল সেই নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ। সেখান থেকে উঠে আসে ধৃতের তথ্য। তারপরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানার পুলিশ।
অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত
এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে। জাল কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সমস্ত রহস্যের কিনারার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও প্রধান শিক্ষক এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ট্যাব জালিয়াতি কাণ্ডে চোপড়া (Chopra) থেকে আনোয়ারি খাতুন নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ওই মহিলা তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলো।