ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কসবা (Kasba) কাণ্ডের জের। সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজ পরিচালন কমিটির জরুরি বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে কলেজের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হল মনোজিৎ মিশ্রকে। সঙ্গে তার বার কাউন্সিলের লাইসেন্স বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পড়ুয়া —প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জেব আহমেদকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কলেজ পরিচালন সমিতির। বৈঠকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সব সুপারিশকে মান্যতা কলেজ পরিচালন সমিতির।
কলেজের কর্মী পদ থেকে বহিষ্কৃত মূল অভিযুক্ত(Kasba)
আজ, মঙ্গলবার কসবা (Kasba) কাণ্ডের জের জরুরি বৈঠকে বসে কলেজের পরিচালন সমিতি। সেখানে হাজির ছিলেন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। তাঁর নেতৃত্বে এই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বহিষ্কার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। মূল অভিযুক্তকে তার অস্থায়ী পদ থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি বার কাউন্সিলের লাইসেন্স বাতিলেরও আবেদন জানাবো হবে। সঙ্গে অভিযুক্ত দুই পড়ুয়াকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি(Kasba)
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি কলেজ খোলা রাখা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে গভর্নিং বডি। এই আইন কলেজ এখন বন্ধই থাকবে। তবে সামনে যেহেতু পরীক্ষা সেই কথা মাথায় রেখে কলেজ অফিস খোলা থাকবে। পড়ুয়ারা সেখানে পরীক্ষা সংক্রান্ত ফর্ম ফিলাপ থেকে যাবতীয় কাজ করতে পারবেন। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারপরই কলেজ খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন কলেজের সকলে।

তবে কলেজ খোলা হলে তার সময় বদল করা হবে। সকাল সাতটা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কলেজ খোলা থাকবে। কলেজের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখিয়েই কলেজে ঢুকতে হবে। কলেজ পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এ বার থেকে কলেজ বন্ধ হওয়ার পর কোনও ছাত্রছাত্রীই আর কলেজের ভিতরে থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি, এ বার থেকে পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীও রাখা হবে। যে নিরাপত্তা এজেন্সি কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, পরিচালন সমিতির বৈঠকে তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC: নতুন নিয়োগে চিহ্নিত অযোগ্যদের সুযোগ কেন? হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে এসএসসি
কসবা গণধর্ষণ কান্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি
উল্লেখ্য, কসবা(Kasba) গণধর্ষণ কান্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। গত বুধবার ল’ কলেজের ইউনিয়ন রুমে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে বলেই অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। সোমবারই কলকাতায় আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দেখা করেন সিপি-র সঙ্গে। ল’কলেজের মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগে রীতিমতো স্তম্ভিত সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের গভর্নিং বডি। এই গণধর্ষণ কাণ্ড সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর। অভিযুক্তদের কলেজ থেকে বরখাস্তের করার সুপারিশ করা হয়। গতকাল অর্থাৎ সোমবার তাদের বরখাস্ত করা হয়। আজ বৈঠকের পর তাদের বহিষ্কার করা হল।
আরও পড়ুন: Kasba Case: পুলিশি হেফাজত শেষ, কসবা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশ