ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম রথযাত্রা দিঘায়(Digha)। দিঘায় সদ্য তৈরি হওয়া জগন্নাথ ধামের প্রথম রথযাত্রা ঘিরে সৈকত শহরে এখন বাড়তি তৎপরতা। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রথ উৎসব। তার আগে বুধবারই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। তাঁর হাতে রশি টেনে হবে দিঘার জগন্নাথ ধামের রথযাত্রার সূচনা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও।
সৈকত শহরে রথযাত্রা তুঙ্গে উদ্দীপনা(Mamata Banerjee)
সৈকত শহরে রথযাত্রা নিয়ে তুঙ্গে উৎসাহ উদ্দীপনা। হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হবে বলেই মনে করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দিঘার রথযাত্রার নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন তিনি। বৈঠকের পর মমতা জানান, ‘আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে পুজোপাঠ শুরু হয়ে যাবে। পুণ্যার্থীরাও সেই সময় থেকেই রথদর্শন করতে পারবেন। আজ রাতেই এখানে রথ লাগিয়ে দেবেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। আমরা আগামিকাল দুপুর দু’টো নাগাদ আসব।’
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)
দিঘায় রথযাত্রার ভিড়ের মাঝে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। যাতে এই ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই আগে থেকেই প্রস্তুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, ‘দুপুর আড়াইটা নাগাদ রথযাত্রা শুরু হবে। রাস্তায় কোনও মানুষ থাকবেন না। দর্শণার্থীদের জন্য ব্যারিকেড ব্যবস্থা থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয়। পুণ্যার্থীরা যাতে ভাল করে দেখতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখে প্রতিক্ষণেই রথ দাঁড়াবে। পথটাও তো বেশি নয়। পৌনে এক কিলোমিটার দূরত্বেই মাসির বাড়ি।’ গোটা দেশজুড়ে বিগত কয়েকটি উৎসব-অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি হয়েছিল উত্তাল পরিস্থিতি। খোদ কুম্ভমেলা ঘিরেই দু-দু’বার ঘটে গিয়েছিল পদপিষ্টের ঘটনা। সেই বিপদ যেন দিঘাকে চোখ রাঙানি না দেয়, তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা সেরে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Mahesh Rath Yatra: ৬২৯ বছরের রথে রাজবেশে প্রভু, রশি টানার অপেক্ষায় মাহেশের ভক্তেরা
রথযাত্রায় বাংলার মানুষকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দর্শণার্থীরা যাতে রথের রশিতে টান দিতে পারেন, ছুঁয়ে প্রণাম করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাটাও সেরে রেখেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ব্যারিকেডের সঙ্গে রথের দড়ি ছোঁয়ানো থাকবে। সবাই ছুঁয়ে প্রণাম করতে পারবেন। প্রথমবার আমাদের এই আয়োজনে বাংলার মানুষকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: Tribeni Railway Over Bridge: ত্রিবেণীর জ্যামে আর ফেঁসে থাকতে হবে না, চলছে ওভারব্রিজ তৈরীর প্রস্তুতি!