ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি (Mamata Banerjee) পড়তেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করলেন বড় ঘোষণা। চলতি বছরে রাজ্যের প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান। আগের বছর যেখানে এই অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৫ হাজার টাকা, সেখানে এবার তা একধাক্কায় বেড়ে গেল ২৫ হাজার টাকা।
বাংলার উৎসব, প্রাণের উৎসব (Mamata Banerjee)
বুধবার বিকেলে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক ও সমন্বয় বৈঠকে এই ঘোষণা (Mamata Banerjee) করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, শুধু অনুদানই নয়, পুজো কমিটিগুলি এবার বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে পাবে ৮০ শতাংশ ছাড় এবং ফায়ার লাইসেন্স ফি থেকেও সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “এটা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটা বাংলার উৎসব, প্রাণের উৎসব। হাজার হাজার মানুষ এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত, এটাই বাংলার ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দেন, দুর্গাপুজোকে ঘিরে বারবার ভুল বোঝাবুঝি (Mamata Banerjee) সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়। তিনি বলেন, “অনেকে বলে, আমি নাকি দুর্গাপুজো করতে দিই না, সরস্বতী পুজো করতে দিই না। অথচ বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মী, সরস্বতী, এমনকি গণেশ পুজোও হয়। আমরা সব ধর্ম, সব উৎসবকে সমানভাবে গুরুত্ব দিই। দুর্গাপুজো নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাওয়া হয়, প্রশ্ন তোলা হয় কেন সরকার সাহায্য করবে? অথচ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ রুজিরোজগার পান। থিম তৈরি, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, সংস্কৃতি চর্চা-এসবই তো একটা বড় ইন্ডাস্ট্রি।”
রাজ্যজুড়ে এবার প্রায় ৪৫ হাজার দুর্গাপুজো
তিনি আরও জানান, রাজ্যজুড়ে এবার প্রায় ৪৫ হাজার দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রাজ্য পুলিশের আওতায় থাকবে প্রায় ৪২ হাজার, আর কলকাতা পুলিশের এলাকায় থাকবে ৩ হাজার পুজো। বড়, মাঝারি ও ছোট ক্লাব মিলিয়ে এই বিশাল আয়োজন। এছাড়াও মহিলা পরিচালিত পুজো ও বাড়ির পুজোগুলিও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court: রাজ্যের আবেদন খারিজ, অনিকেত মাহাতোদের বদলি মামলার শুনানি হাইকোর্টেই
পুজোর বিসর্জনের দিন ঠিক হয়েছে ২, ৩ ও ৪ অক্টোবর। আর ৫ অক্টোবর হবে বহু প্রতীক্ষিত দুর্গাপুজো কার্নিভাল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, এই দিনগুলিতে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে, বিশেষ নজর দিতে হবে মহিলাদের নিরাপত্তায়। এইভাবে রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের আবহে যে প্রশাসনিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, তা বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।