ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে পণ্য ও পরিষেবা কর (Mamata Banerjee) (জিএসটি) আদায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। রাজ্যে গত বছরের তুলনায় এই বছর ৪৮০৮ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি।
রাজ্যের সাফল্য (Mamata Banerjee)
রাজ্যের এই সাফল্য সম্পর্কে সমাজ মাধ্যমের মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । তিনি জানিয়েছেন, এই বৃদ্ধির হার শুধু রাজ্যের মধ্যে নয়, দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হারের তুলনায়ও বেশিরভাগ। যেখানে দেশের সার্বিক জিএসটি আদায়ের বৃদ্ধি ছিল ৯.৪৪ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের বৃদ্ধির হার ১১.৪৩ শতাংশ, যা প্রায় ২ শতাংশ বেশি।
অর্থ দফতরকে অভিনন্দন (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অর্থ দফতরকে এই সাফল্যের জন্য (Mamata Banerjee) অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই অর্জন রাজ্যের স্বনির্ভরতা এবং অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার প্রতি সরকারের অবিচল বিশ্বাসকে প্রমাণিত করে। রাজ্য প্রশাসন যে স্থানীয় অর্থনীতিকে রাজ্যবাসীর কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য সচেষ্ট, এটি তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্যবাসীর জন্য নতুন সুযোগ
জিএসটি আদায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকারের এই সাফল্য রাজ্যের প্রশাসনিক দক্ষতা এবং অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তির ইঙ্গিত দেয়। রাজ্য সরকার যে সকল কর্মসূচি এবং নীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করছে, তা এই বৃদ্ধি থেকে পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। এই সাফল্য ভবিষ্যতে রাজ্যের উন্নয়নে আরও সহায়ক হবে এবং রাজ্যবাসীর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: Sajal Ghosh: “অস্ত্র দেখলেই রাক্ষসরা ভয় পায়”, রামনবমীর মিছিলে অকপট সজল!
ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি
জিএসটি সংগ্রহের দুটি ভাগ থাকে। একটি ভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য (সিজিএসটি) এবং অপর ভাগ রাজ্য সরকারের জন্য (এসজিএসটি)। যখন কোনও পণ্য বা পরিষেবা এক রাজ্যের মধ্যে বিক্রি হয়, তখন এই শুল্ক সিজিএসটি ও এসজিএসটির মধ্যে ভাগ করা হয়। অন্যদিকে, যখন পণ্য বা পরিষেবা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বিক্রি হয়, তখন ‘ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি’ (আইজিএসটি) আদায় করা হয়, যা প্রথমে পুরোপুরি কেন্দ্রের কাছে যায়, এবং পরে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে তার অংশ পাঠানো হয়।

উন্নতির বড় পরিসংখ্যান
পশ্চিমবঙ্গের এই সাফল্য রাজ্যের অর্থনীতির উন্নতির একটি বড় পরিসংখ্যান। রাজ্য সরকার তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং অর্থনৈতিক নীতির মাধ্যমে স্থানীয় শিল্প এবং ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছে, যা ভবিষ্যতে রাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তিশালী উন্নয়নকে আরও সুদৃঢ় করবে।