ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এসএসসি কেলেঙ্কারিতে চাকরি খোয়ানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Mamata Banerjee) জন্য সুপ্রিম কোর্টের রায় এনে দিল কিছুটা স্বস্তি। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই, সেই ‘নন-টেইন্টেড’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবেন। নিয়োগ সম্পূর্ণ করার সময়সীমাও বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই রায় শিক্ষাকর্মী, অর্থাৎ গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আর এখানেই নতুন করে অসন্তোষ ছড়িয়েছে চাকরি হারানোদের মধ্যে।
শিক্ষাকর্মীদের সমস্যার সমাধান (Mamata Banerjee)
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিক (Mamata Banerjee) বৈঠক করে স্পষ্ট বার্তা দিলেন—আইনি পথেই তিনি শিক্ষাকর্মীদের সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করবেন। নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছি আদালত থেকে। এটা একটা স্বস্তির খবর। যাঁরা এতদিন বেতন পাচ্ছিলেন না, তাঁরা অন্তত এখন পেতে পারবেন। আমরা বিকল্প রাস্তা খুঁজছিলাম, আমাদের আবেদনে আদালত সাড়া দিয়েছে।”
যোগ্য-অযোগ্য বাছাই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
তবে মুখ্যমন্ত্রী এখানেই থেমে (Mamata Banerjee) থাকেননি। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকে বলছেন, এই মামলা ২০২৬ পর্যন্ত চলবে। আমি বলছি, তা হবে না। আমরা চেষ্টা করছি, এ বছরই সব মিটিয়ে ফেলতে। আপনারা পাশে থাকলে আমরা নিশ্চয়ই সমাধান করতে পারব।” পাশাপাশি নিজের অসহায়তার কথাও তিনি অকপটে স্বীকার করেন— “আমি এলিট ক্লাসের লোক নই। আমি ভাল হিন্দি বা ইংরেজি জানি না। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করি মন থেকে।”
মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতিশীল বার্তা
চাকরি হারানোদের উদ্দেশেও মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ছিল যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন, “আপনাদের দুঃখে আমরাও দুঃখিত। আমরা কেউ আপনাদের ছেড়ে দিইনি। আইনজীবীরা দিল্লি থেকে আসছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব। কিছু সময় লাগবে ঠিকই, কিন্তু তাড়াহুড়ো করে ভুল সিদ্ধান্ত নেব না।”

কাজ চালিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র
যদিও আপাতত শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছে, শিক্ষাকর্মীদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস—আইনের পথেই সেই সমস্যারও সমাধান খোঁজা হবে। “ধৈর্য ধরুন, আমাদের উপর ভরসা রাখুন”—এই মন্ত্রেই আপাতত আশার আলো দেখছেন চাকরি হারানোরা।
রাজ্য সরকারের অবস্থান একদম পরিষ্কার—আইনি কাঠামোর মধ্যেই থেকে, যতটা সম্ভব দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা। এখন শুধু সময় বলবে, এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবের মাটিতে দাঁড়াতে পারে।