ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মালদহের এক (Mamata Banerjee) পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে দিল্লিতে পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, দিল্লিতে কাজ করতে যাওয়া এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নির্মমভাবে মারধর করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই সোমবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী, যা ঘিরে শুরু হয় জোরদার রাজনৈতিক চাপানউতোর।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি (Mamata Banerjee)
মঙ্গলবার ইলামবাজারে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ফের দাবি করেন, তিনি আগেই বলেছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দেওয়া হতে পারে এবং বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। মমতার দাবি, একের পর এক থানায় নিয়ে গিয়ে পরিবারটিকে চাপে রাখা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “রেকর্ড চেক করুন। সত্যি-মিথ্যা সময়ই প্রমাণ করে দেবে।”
বিজেপির বিরুদ্ধে সরব (Mamata Banerjee)
এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে। তবে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ডিএসপি (পূর্ব) অভিষেক ধনিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ করেন। তিনি জানান, ভিডিওটি সামনে আসার পরই তদন্ত শুরু হয় এবং ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা একটি মিথ্যা ভিডিও। পুলিশ আরও দাবি করে, ভিডিও তৈরির পিছনে মহিলার এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
দিল্লি পুলিশের দাবি
তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য, ওই মহিলা স্বীকার করেছেন মালদহের তাঁর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আত্মীয়ের নির্দেশেই ভিডিওটি তৈরি করে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। ইতিমধ্যে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Cancer Risk in Antacid: অম্বলের ওষুধেই ক্যান্সারের সম্ভাবনা! সতর্ক করল সিডিএসসিও
রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক
অন্যদিকে, এই অভিযোগের জেরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ এনে দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় এফআইআর দায়েরের কথা জানান। শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুজব ছড়ানোয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেতে পারেন।”

আরও পড়ুন: Cancer Risk in Antacid: অম্বলের ওষুধেই ক্যান্সারের সম্ভাবনা! সতর্ক করল সিডিএসসিও
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হওয়ায় এবং দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন হওয়ায়, এই বিতর্ক কার্যত রাজ্য ও কেন্দ্রের সংঘর্ষের নতুন মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে।