ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার ঘন জঙ্গলে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর (INDIAN ARMY) গুলিতে মৃত্যু হল মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা সোধি কান্নার (Maoist Leader Killed)। তাঁর মাথার দাম ধার্য ছিল ৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত না হলেও, সোমবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিজাপুরের জাতীয় উদ্যানে শুক্রবার যে মাওবাদী নিহত হন, তিনিই সোধি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোধি ছিলেন ‘পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ (পিএলজিএ)-র একটি ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ডার(Maoist Leader Killed)। তেলঙ্গানা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মাওবাদী হামলা ও গেরিলা কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন তিনি। যৌথবাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শুক্রবার বিজাপুরের একটি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালায়। সূত্রে খবর ছিল, তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি, জাতীয় উদ্যান কমিটি, ও পিএলজিএ-র একটি ব্যাটেলিয়নের একাধিক নেতা সেখানে লুকিয়ে রয়েছেন। অভিযান চলাকালীন নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষ শেষে সোধির মৃতদেহ উদ্ধার করে বাহিনী। উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন এবং বিস্ফোরকও।
মাওবাদী কার্যকলাপে টানা ধাক্কা (Maoist Leader Killed)
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গত দেড় বছরে ছত্তীসগঢ়ের বস্তার অঞ্চলে অন্তত ৪১৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে(Maoist Leader Killed)। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একাধিক শীর্ষ নেতা ও কৌশলপ্রণেতা। বস্তার আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এই তালিকায় রয়েছেন,
- রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি (পলিটব্যুরো সদস্য)
- নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না (সাধারণ সম্পাদক)
- নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর (কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য)
- চৈতন্য বেঙ্কট রবি ওরফে অরুণা (সেনা শাখার শীর্ষ নেত্রী)
এই নিহতদের মধ্যে অনেকেই ‘গ্রে-হাউন্ড’ বাহিনী, সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে নিহত হয়েছেন(Maoist Leader Killed)।

আরও পড়ুন: Ship Attack Near Yemen : লোহিত সাগরে ফের জাহাজে সশস্ত্র হামলা, সন্দেহের তির হুথির দিকে!
এখনও সক্রিয় আতঙ্কের রাজনীতি (Maoist Leader Killed)
যদিও সাম্প্রতিক সাফল্য মাওবাদীদের সংগঠনকে বড় ধাক্কা দিয়েছে, তবু পুরোপুরি নির্মূল হয়নি লাল-সন্ত্রাস(Maoist Leader Killed)। গ্রামবাসীদের উপর আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। গত সপ্তাহে বিজাপুরের উসুর থানা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে মাওবাদীরা। তাঁকে ‘পুলিশের চর’ বলে অভিযুক্ত করে রাতে বাড়িতে ঢুকে খুন করে পাঁচ জন সশস্ত্র মাওবাদী।

তারও আগে, গত মাসে বিজাপুর জেলার অন্য এক গ্রামে তিন জন গ্রামবাসীকে একই অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা। এসব ঘটনায় তাদের সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে উঠছে(Maoist Leader Killed)। মাওবাদীদের উপর ধারাবাহিক এই চাপ সরকারি কৌশলের সাফল্যকে তুলে ধরলেও, এখনও তাদের সক্রিয়তা ও আতঙ্ক ছড়ানোর ক্ষমতা রয়ে গিয়েছে। ফলে শুধু জঙ্গলে অভিযানই নয়, প্রয়োজন গ্রামীণ নিরাপত্তা, তথ্যদাতাদের সুরক্ষা ও বিকল্প জীবিকা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ— তবেই দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব হবে মাওবাদী প্রভাবমুক্ত ছত্তীসগঢ়(Maoist Leader Killed)।