ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লন্ডনের বিখ্যাত নিলামঘর সদবি (Sotheby’s)-এ উঠল এক অনন্য মহাজাগতিক সম্পদ— মঙ্গলগ্রহ থেকে আসা এক বিরল উল্কাপিণ্ড (Martian Meteorite)। ২৪.৫ কেজি ওজনের এই উল্কাপিণ্ডটি ৫৩ লক্ষ মার্কিন ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা) বিক্রি হয়েছে। এর আগে এত দামে কোনও উল্কাপিণ্ড বিক্রি হয়নি। এই উল্কাপিণ্ডটির সরকারি নাম NWA 16788। এটি পৃথিবীতে মঙ্গলগ্রহ থেকে আসা উল্কাগুলির মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বড় হিসেবে স্বীকৃত।
কীভাবে পৃথিবীতে এল এই উল্কাপিণ্ড? (Martian Meteorite)
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০ লক্ষ বছর আগে মঙ্গলের পৃষ্ঠে একটি বিশাল ধূমকেতু বা গ্রহাণুর আঘাত লাগে(Martian Meteorite)। সেই আঘাতে মঙ্গলের একটি অংশ মহাকাশে ছিটকে পড়ে। এরপর সেটি প্রায় ১৪ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর সাহারা মরুভূমিতে এসে আছড়ে পড়ে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে নাইজারের সাহারা মরুভূমির আগাদেজ় অঞ্চলে একদল উল্কাশিকারী এই উল্কাটি খুঁজে পান। গবেষকরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে উল্কাপিণ্ডটির রাসায়নিক গঠন ও উপাদান মঙ্গলের পৃষ্ঠের সঙ্গে মিলে যায়।
রেকর্ড দামে বিক্রি (Martian Meteorite)
প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, নিলামে এর দাম উঠতে পারে ২০-৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার(Martian Meteorite)। কিন্তু মাত্র ১৫ মিনিটের অনলাইন নিলামে দাম গিয়ে ঠেকে ৫৩ লক্ষ ডলারে। এই নিলামের ফলে এটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দামী মঙ্গলীয় উল্কাপিণ্ড।
সদবির ভাইস চেয়ারম্যান কাসান্দ্রা হ্যাটন বলেন,“এটি অবিশ্বাস্য যে এত দূর থেকে, মহাকাশ পেরিয়ে এমন এক বিশাল উল্কা পৃথিবীতে এসে পড়েছে। অধিকাংশ উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করলেও সেগুলির বেশিরভাগই সমুদ্রে পড়ে এবং খুঁজে পাওয়া যায় না। NWA 16788 সেই দিক থেকে একেবারেই বিরল।”

মঙ্গলীয় উল্কাপিণ্ডের সংখ্যা হাতে গোনা (Martian Meteorite)
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে পৃথিবীতে মঙ্গল থেকে আসা উল্কাপিণ্ডের সংখ্যা সরকারি হিসেবে প্রায় ৪০০(Martian Meteorite)। এর মধ্যে আকার ও ওজনের বিচারে সবচেয়ে বড় হল NWA 16788। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০ লক্ষ বছর আগে মঙ্গলের পৃষ্ঠে একটি বিশাল ধূমকেতু বা গ্রহাণুর আঘাত লাগে।

সেই আঘাতে মঙ্গলের একটি অংশ মহাকাশে ছিটকে পড়ে। এরপর সেটি প্রায় ১৪ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর সাহারা মরুভূমিতে এসে আছড়ে পড়ে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে নাইজারের সাহারা মরুভূমির আগাদেজ় অঞ্চলে একদল উল্কাশিকারী এই উল্কাটি খুঁজে পান।গবেষকরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে উল্কাপিণ্ডটির রাসায়নিক গঠন ও উপাদান মঙ্গলের পৃষ্ঠের সঙ্গে মিলে যায়।