অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড। জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী মেট্রো সংলগ্ন ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল দেরি করে এসেছে। ৮ থেকে ১০টি বাড়ি রীতিমতো পুড়ে ছাই। বিকেল ৫:৪০ নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। দমকল দেরি করে আসায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ টি পরিবার একই জায়গায় ভাড়া থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার কিছু পরে আগুন ধরে একটি ঝুপড়িতে। তার পর সেই আগুন পাশের ঘরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। পাঁচটি ইঞ্জিন নেভায় আগুন। ততক্ষণে ঝুপড়িগুলির ভিতরে আর কিছুই বেঁচে ছিল না। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এ দিন সন্ধ্যে ৬টার কিছু পরে এই আগুন লাগে বলে খবর৷ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন৷
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/anit-thapa-will-be-new-chairman-of-gta-board/
যে জায়গায় আগুন লেগেছে তার পাশে একটি বহুতল এবং রেস্তোরাঁও ছিল৷ ফলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল৷ তবে আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ এর আগে গত শনিবার চাঁদনী চকের সাবির হোটেলের কাছে সিএসসি অফিস লাগোয়া একটি গুদামে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেদিনের ঘটনায়ও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/tmc-leader-kajal-sheikh-get-y-plus-security/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/west-bengal-by-election-medinipur-assembly/
অন্যদিকে, বেহালা, বাঁশদ্রোণীর পর মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ২টি বাসের রেষারেষির জেরে প্রাণ হারাল এক শিশু। জানা গিয়েছে, বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে স্কুটিতে করে বাড়িতে ফিরছিলেন তার মা। সেই সময় ২ টি বাস রেষারেষি করছিল। আর তাতেই ধাক্কা মারে স্কুটিতে। বেঘোরে প্রাণ যায় শিশুর। প্রতিবাদে সল্টলেক গেটের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাস ভাঙচুর করে বাইপাসে অবরোধ করেন তারা। পুলিশের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। ব্যস্ত সময়ে কার্যত অবরুন্ধ হয়ে পড়ে সল্টলেক-বাইপাস-হাডকোমুখী রাস্তা।