ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পিনরিন ফিল্মস প্রোডাকশন প্রযোজিত শমীক রায়চৌধুরীর চলচ্চিত্র ‘মায়া সত্য ভ্রম’ (Maya Satya Bhram)। ছবিটির লেখক এবং পরিচালক শমীক রায় চৌধুরী। ছবিটির মূল আকর্ষণ কী? কেনই বা ছবিটি এত বিশেষ? নেপথ্যে কারিগর কারা?
স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী (Maya Satya Bhram)
শমীক রায় চৌধুরী কলকাতার এক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন (Maya Satya Bhram)। ভিজ্যুয়াল এফেক্টস শিল্পী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হলেও, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি গভীর আগ্রহ তাঁকে পরিচালকের পথে নিয়ে যায়। তাঁর ভাবনাপ্রবণ চলচ্চিত্র ‘বেলাইন’ (২০২৪) শুধু বাংলা দর্শকদেরই মুগ্ধ করেনি, বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছে। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে অসাধারণ প্রতিক্রিয়া এবং উচ্চ রেটিং অর্জন করে। ‘বেলাইন’ বর্তমানে অ্যাপল টিভি সহ প্ল্যাটফর্মে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিমিং হচ্ছে। তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে ‘ওকিয়াগারি’, ‘সেক্স এভরিহোয়্যার’, ‘ভানিচি ভানি’, এবং ‘ইয়েস্টারডে’ ।
বহু গুণের সমন্বয় (Maya Satya Bhram)
শমীকের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডি মেজর’ (২০১৬), যা তিনি লিখেছেন, পরিচালনা করেছেন এবং প্রযোজনা করেছেন (Maya Satya Bhram)। FOG ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৬, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬, এবং ইন্ডিয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৮-তে সম্মানিত হয়।তাঁর ২০২৩ সালের চলচ্চিত্র ‘মাশরুম’ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয় এবং মিলান গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস, নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হয়। ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি “নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম: ব্যাটল অফ দ্য স্মিথসোনিয়ান” (২০০৯), “দ্য মামি: টম্ব অফ দ্য ড্রাগন এম্পেরর” (২০০৮), এবং “অ্যালভিন অ্যান্ড দ্য চিপমাঙ্কস: চিপরেকড” (২০১১)-এর মতো বিখ্যাত হলিউড চলচ্চিত্রে ভিজ্যুয়াল এফেক্টস টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন।
মিউজিক ভিডিওর কাজ (Maya Satya Bhram)
শমীক বেশ কিছু বিজ্ঞাপন এবং মিউজিক ভিডিও পরিচালনা ও রচনা করেছেন। তাঁর বহুমুখিতা ২০১০ সালের মনোজ মিশিগান পরিচালিত ‘৮৯’ চলচ্চিত্রে স্পষ্ট হয়, যেখানে তিনি ডায়লগ রাইটার, ভিএফএক্স সুপারভাইজার, গীতিকার এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওকিয়াগারি’ যেখানে মীর আফসার আলি অভিনয় করেছেন। ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি এটি প্রিমিয়ার হয়।
উচ্চাভিলাষী প্রকল্প
‘মায়া সত্য ভ্রম’ শমীকের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প, যা তিনি বহু স্তরে দক্ষতার সঙ্গে নির্মাণ করছেন। গল্পের সারমর্ম হল, গত সাত মাসে ঘটে যাওয়া দুটি অদ্ভুত নিখোঁজ ঘটনা কলকাতার প্রফুল্ল নগর থানার জীবন অস্থির করে তুলেছে। প্রথমটি হল, সাব-ইন্স্পেক্টর সঞ্জয় কোনারের আট বছরের ছেলে টোটোর নিখোঁজ হওয়া। দ্বিতীয়টি হল, সারা একজন সুইডিশ ফিল্ম প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং গবেষক। যিনি গবেষণার জন্য ভারতে এসেছিলেন। প্রথম নজরে ঘটনাগুলি আলাদা মনে হলেও, তদন্তে উভয়ের ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। যা ঘটনাক্রমে এক রহস্যময় চরিত্র, ত্রিলোকদর্শী বাবা-র সঙ্গে যুক্ত। ছেলের খোঁজে সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় এবং তার স্ত্রী উর্মিলা এক কঠিন সময় পার করেন। যখন তারা উভয় ঘটনার সংযোগ সূত্র খুঁজতে থাকে। তখন ত্রিলোকদর্শী বাবার রহস্য এবং তার যাত্রাপথ ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়।
আরও পড়ুন: Operation Sindoor: সন্ত্রাসবাদের মেরুদণ্ড ভাঙল ভারত, দিওয়ালির শুভেচ্ছা তারকাদের! কে কী বললেন?
অভিনয়ে কারা?
অভিনয়ে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহম মজুমদার, আলেক্সান্দ্রা টেলর, পিন্টু চ্যাটার্জি, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভ্রজিত দত্ত, দেবেশ রায় চৌধুরী, শ্রেয়া ভট্টাচার্য, রানা বসু ঠাকুর, সঞ্জিতা, দীপক হালদার, সন্দীপ ভট্টাচার্য, সৌম্য মজুমদার, পিঙ্কল নন্দী সহ অনেকে। ছবিটির চিত্রগ্রাহক প্রসেনজিৎ কোলে। সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন সঙ্গলাপ ভৌমিক, শিল্প নির্দেশনা করছেন তপন শেঠ, পোশাক ডিজাইনার সুলগ্না চৌধুরী, কালারিস্ট দেবজ্যোতি ঘোষ এবং গণসংযোগ ও মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুর।