ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর কপি অবিলম্বে অভিযোগকারীকে দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে দিল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রাজ্যের থেকে কেস ডায়েরিও তলব করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Medinipur Saline Controversy)। মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় প্রসূতি মৃত্যুতর অভিযোগে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার এই মামলায় রাজ্যের থেকে কেস ডায়ারি তলব করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Medinipur Saline Controversy)। সোমবার শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন, ‘এখনও এফআইআর কপি আপলোড হয়নি কেন?’ তারপরই আবেদনকারীকে আজকের মধ্যে এফআইআর কপি দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/allegations-of-corruption-in-rupashree-prakalpa/
আবেদনকারীর আইনজীবীর কী বক্তব্য (Medinipur Saline Controversy):-
এদিন আবেদনকারীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ এখনও এফআইআর কপি আপলোড করেনি। অথচ চিকিৎসককে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত আপলোড করা হয়নি এফআইআর কপি।’ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আজকের মধ্যে আবেদনকারীকে এফআইআর কপি দেওয়ার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/calcutta-hc-on-jaynagar-case-suspensionand-asks-for/
Medinipur Saline Controversy:-
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়োগ উত্তীর্ণ স্যালাইন (Medinipur Saline Controversy) প্রয়োগ করায় মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে নবান্ন (Medinipur Saline Controversy)। এঁদের মধ্যে ৬ জন পিজিটি, অর্থাৎ জুনিয়র ডাক্তার, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের MSVP জয়ন্ত কুমার রাউত, RMO সোমেন দাস, চিকিৎসক দিলীপকুমার পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিমাদ্রি নায়েক, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন, সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় সাসপেন্ড হয়েছেন (Medinipur Saline Controversy)।
এই তালিকায় রয়েছেন মৌমিতা মণ্ডল, ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু, সুশান্ত মণ্ডল, পূজা সাহা, মনীশ কুমার, শ্বেতা সিং এবং জাগৃতি ঘোষ। এঁরা সকলেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি বা পিজিটি স্টুডেন্ট অর্থাৎ জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। কিন্তু সেই ও এফআইআর কপি এখনও আপলোড করা হয়নি বলে অভিযোগ অভিযোগকারী চিকিৎসকের আইনজীবী।