ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মানসিক অবস্থা, যার প্রভাব নিছক মনেই সীমাবদ্ধ থাকে না ( Mental State)। একাধিক গবেষণা এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অবসাদ ধীরে ধীরে শরীর ও মনের উপর এমন এক ছায়া ফেলে, যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। আশঙ্কার বিষয়, অনেক সময়েই ব্যক্তি নিজেই টের পান না যে তিনি অবসাদগ্রস্ত।
ব্যথা ( Mental State)
২০২৪ সালে ‘পেন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেখানে দাবি করা হয়েছে, অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে তুলনামূলক বেশি ব্যথা অনুভব করেন। গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ অবসাদে আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্র ব্যথা বা বেদনাজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে, অবসাদে আক্রান্ত নন—এমনদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ মানুষ এই ধরনের শারীরিক কষ্ট অনুভব করেছেন।
ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস ( Mental State)
শরীরের ওজনের হঠাৎ পরিবর্তন অবসাদের অন্যতম সূচক হতে পারে। দেখা যায়, ব্যক্তি অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার পর খাদ্যাভ্যাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে—কেউ কেউ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, কেউ আবার খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেন। ফলে কারও ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যায়, আবার কারও ক্ষেত্রে দ্রুত কমে যেতে শুরু করে।
অতিরিক্ত রাগ ও মেজাজ পরিবর্তন
অসঙ্গত রাগ, অল্পতেই বিরক্তি, কিংবা হঠাৎ মুড সুইং—এসব লক্ষণ প্রায়শই অবসাদের আগাম বার্তা দেয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মনের ভেতরের হতাশা এবং উদ্বেগ অনেক সময় রাগের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ পায়।
আরও পড়ুন: Vijay Deverakonda: ইডির জালে রশ্মিকার চর্চিত প্রেমিক! সন্দেহের ঝড় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান
প্রতিদিনের জীবনের চাপ, ক্লান্তি এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে মদ্যপানে ভরসা রাখেন। যদিও অল্প মাত্রায় তা সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু এটি সহজেই অভ্যাসে পরিণত হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অবসাদে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত আগের তুলনায় বেশি মদ্যপান করতে থাকেন।
সমাজমাধ্যম ব্যবহারেও ভারসাম্য
‘সায়েন্স ডিরেক্ট’ জার্নালে ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, অবসাদে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ইন্টারনেট এবং সমাজমাধ্যমে অনেক বেশি সময় কাটান।