ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গরম পড়লে (Migraine) মাথা ধরে, আবার বৃষ্টি নামলেই মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়? অফিসের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালীন হঠাৎ শুরু হয় টিপটিপ ব্যথা, যা একবার শুরু হলে আর সহজে থামে না? দিনভর এমন যন্ত্রণা তো আছেই, অনেক সময় তা দুই-তিন দিন টানা ভোগাতে থাকে। অনেক সময়ই এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথা মাইগ্রেনের লক্ষণ হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে বর্ষার দিনে এই ব্যথা আরও তীব্র হয়ে ওঠে, সঙ্গে যোগ হয় বমিভাব, মাথা ঘোরা কিংবা অস্বস্তি।
প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তির পথ (Migraine)
অনেকেই ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি পান, কিন্তু একসময় (Migraine) সেই ওষুধও কাজ করে না। এ অবস্থায় যদি প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তির পথ খোঁজা যায়, তবে তা অনেক বেশি উপকারী। ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুপ আচার্যের মতে, নিয়মিত স্ট্রেস রিলিফ যোগাভ্যাস মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে। এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ে, ‘হ্যাপি হরমোন’ যেমন এন্ডরফিন, অক্সিটোসিন, ডোপামিনের ক্ষরণও বাড়ে। ফলস্বরূপ মানসিক চাপ কমে, শরীর-মন দুটোই হালকা লাগে।
তিনি জানিয়েছেন, পাঁচটি বিশেষ যোগাসন রয়েছে যেগুলো নিয়মিত করলে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, এমনকি ওষুধ ছাড়াই।
১. বালাসন (Migraine)
শিশু ভঙ্গিমায় বসে কপাল মাটিতে (Migraine) ঠেকিয়ে ১০ সেকেন্ড থাকুন। এই আসন মস্তিষ্ককে প্রশমিত করে, মানসিক চাপ কমায়।
২. উত্তনাসন (Migraine)
সোজা দাঁড়িয়ে শরীর সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে হাত দিয়ে (Migraine) মাটি ছোঁয়ার চেষ্টা করুন, হাঁটু ভাঁজ না করে। এই আসন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে ও মাথা ঠান্ডা রাখে।
৩. কর্প ওয়ার্কআউট
পা সামনের দিকে এনে স্ট্রেচ করে দাঁড়াতে হবে, দুই হাত ও পায়ের ভঙ্গিমা মাথার পেশি ও ঘাড়ের স্ট্রেস কমায়।
৪. অধোমুখ শবাসন
‘ডাউনওয়ার্ড ডগ পোজ’ নামে পরিচিত এই আসনে শরীরকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে, কোমর ও পিঠ তুলতে হবে। এটি মাইগ্রেনের তীব্রতা কমাতে কার্যকর।

৫. পদ্মাসন
যোগচর্চার পরিচিত আসন, যা মনঃসংযোগ বাড়ায় ও হজমে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: 100 Days Work: ১০০ দিনের কাজ ফের চালুর নির্দেশ হাই কোর্টের, কেন্দ্রকে শর্তসাপেক্ষ ছাড়!
তবে একদিনে ফল আশা না করাই ভালো। ধীরে ধীরে অভ্যাস করুন, ব্যায়ামের মাঝে বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় দিলেই এই কষ্টকর মাথাব্যথার সঙ্গে লড়াই অনেক সহজ হয়ে যাবে।