ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শীতের বাজারে সহজলভ্য সবজির মধ্যে অন্যতম বিটরুট (Beet Root Recipe)। এই সময় বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এই কন্দ-সবজি। এই সবজির উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। বিটরুট ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ইত্যাদি উপাদান আছে এতে। রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টও। কিন্তু এত পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই সবজি রোজকার খাবারের তালিকায় রাখবেন সেই ভেবেই এই সবজি খান না অনেকেই। তাই এই শীতের মরসুমে আপনার জন্য রইল বীটরুটের এই ৪ রেসিপি (Beet Root Recipe)।
বিটের লাড্ডু (Beet Root Recipe)
প্রথমে ঘি গরম করে তাতে বিটরুট কুচি (Beet Root Recipe) দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এতে এলাচ, দারুচিনি দিয়ে দিন। তারপর তরল দুধ দিয়ে নাড়তে থাকুন। সেদ্ধ হয়ে দুধ শুকিয়ে ক্রিম হলে চিনি দিয়ে নেড়ে নিন। বাদাম গুঁড়ো ছড়িয়ে, গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। সব মাখা মাখা হয়ে তেল বের হয়ে এলে, নামিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল করে লাড্ডু বানিয়ে ভাজা সেমাই বা শুকনা নারকেল কোরানোর মধ্যে গড়িয়ে পরিবেশন করুন।
বীটের স্যুপ (Beet Root Recipe)
এটি বানাতে লাগবে বীট (Beet Root Recipe), পেঁয়াজ, রসুন, গাজর, টমেটো, নুন, আদা, গোটা জিরে, হলুদ গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, অলিভ অয়েল ও মাখন।প্রথমেই সব সবজি কেটে নিন। এরপর কড়াইয়ে অলিভ অয়েল দিন। তাতে গোটা গোলমরিচ ও তেজপাতা দিন। এবার এতে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিন। এবার ভাল করে কষাতে থাকুন। মশলা কষে এলে তাতে স্বাদ মত নুন দিন। একটু মাখন যোগ করুন। এরপর জল ঢেলে দিন।ব্যস তৈরী আপনার বিটের স্যুপ।
আরও পড়ুন: Sensex Jump on New Year: নতুন বছরের প্রথম দিনেই ছুটছে শেয়ারবাজার!
গরম ভাতে বিট বাটা
প্রথমে বিট কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার তা সেদ্ধ করে রাখুন।মিক্সিতে সেদ্ধ বিট, সর্ষে, পোস্ত এবং কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। শীলেও বাটতে পারেন।এ বার কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তার মধ্যে কালো জিরের ফোড়ন দিন।তেল গরম হয়ে গেলে বেটে রাখা বিটের মিশ্রণ দিয়ে দিতে হবে। ভাল করে নেড়েচেড়ে তার মধ্যে নুন, সামান্য চিনি দিয়ে দিন। কষতে কষতে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
বিটের হালুয়া
প্রথমেই প্যানে ঘি গরম করে কাজু সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই প্যানেই ২ কাপ কুরোনো বিট দিয়ে ৩-৪ মিনিট ভাজুন যতক্ষণ না সুগন্ধ বেরোচ্ছে। এরপর আঁচ কমিয়ে দেড় কাপ কাপ দুধ ঢেলে দিন। ভালো করে নাড়াচাড়া করার পর আঁচ একদম কমিয়ে ঢাকা দিয়ে ৩-৪ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ঢিমে আঁচে ততক্ষণ রেখে দিন, যতক্ষণ না জল জল ভাব কেটে যায়। বিট নরম হয়েছে কি না দেখে নিয়ে চিনি এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: Planet X: সৌর জগতের অদৃশ্য গ্রহ প্ল্যানেট এক্স! কেন দেখা যায় না এই গ্রহটিকে?
কারা খাবেন না
কিডনি স্টোনের মতো শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা থাকলে ডায়েটে বিট রাখবেন না।ডায়াবেটিস, গেঁটে বাত, অ্যালার্জির মতো সমস্যাতেও বিট বর্জনীয়। অনেকের বিটরুটে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, জ্বালাপোড়া হতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা হলে এটি খাওয়া উচিত না।ডায়েটে যোগ করলেও সব সময় পরিমিত পরিমাণে খাবেন।