ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। রাতে হত্যালীলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি। সেই আবহে বুধবার সকালে এক জন আইজির নেতৃত্বে উপত্যকায় পৌঁছোন এনআইএ-র গোয়েন্দারা।
হত্যালীলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি (Pahalgam Attack)
পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকরের ছায়া সংগঠন টিআরএফ-এর সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। রাতে হত্যালীলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি (Pahalgam Attack)। সেই আবহে বুধবার সকালে এক জন আইজির নেতৃত্বে উপত্যকায় পৌঁছোন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হামলার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং স্থানীয় পুলিশকে সহায়তা করবেন তাঁরা।
গোয়েন্দাদের নজরে ছিল (Pahalgam Attack)
পাকিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার (LeT) একটা ছায়া সংগঠন হিসেবে বহুদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। টিআরএফের একটা বিবৃতি ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে তারা বলেছে (Pahalgam Attack), “কাশ্মীরে ৮৫ হাজারেরও বেশি বহিরাগতকে ডোমিসাইল দেওয়া হয়েছে। এঁরা পর্যটক সেজে এসে জমি কব্জা করছেন। তা রুখতে হিংসার পথই বেছে নিতে হবে।”
সরকারের তরফে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরে টিআরএফের আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরু থেকেই এই সংগঠনটি কাশ্মীরি জঙ্গিবাদের ‘স্থানীয় মুখ’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় ছিল। মূলত লস্কর-ই-তোইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের কিছু সদস্যকে নিয়ে এদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু হয়। টিআরএফের সুপ্রিম কমান্ডার শেখ সাজ্জাদ গুল। ২০২২ সালে ভারত সরকারের তরফে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা হয়েছিল তাকে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে কাশ্মীরে নিহত ১৭২ জন জঙ্গির মধ্যে অন্তত ১০৮ জনই টিআরএফের সদস্য ছিল।
টিআরএফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে
এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক টিআরএফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৭’ আইনের অধীনে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, টিআরএফ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য এক বিপজ্জনক হুমকি।