ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সঙ্গে গতকাল আলোচনায় বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi-Xi Meeting) গত পাঁচ বছরের এটাই তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, এই বৈঠক তা প্রশমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১৬তম ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হয়। বৈঠকের ঠিক দু’দিন আগে, বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তের সামরিক অচলাবস্থা মোকাবিলায় বেজিংয়ের সঙ্গে হওয়া একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করে নয়াদিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রকের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি, দুই নেতার মধ্যে হওয়া এই কৌশলগত বৈঠকের বিষয়ে বিশদে জানিয়েছেন।
বৈঠকের প্রধান বক্তব্য
ডিসএনগেজমেন্ট এবং চুক্তি
দুই নেতাই সাম্প্রতিক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। নাগরিক শান্তিকে প্রভাবিত করে এমন সীমান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন মোদী। দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের দ্রুত বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ডোভাল এবং ওয়াং ইয়ের মধ্যে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Brics Summit 2024: বিশ্ব দরবারে ভারত বন্দনা, ব্রিকস শেষে দেশে ফিরলেন মোদি
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা
মোদী এবং জিনপিং দুজনেই আঞ্চলিক কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পর্যালোচনা করেছেন। এই দুই দেশের তাদের পার্টনারশিপ এই অঞ্চলের আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার বিষয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলে বলে দুজনেই জানিয়েছেন। সেই কারনেই দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি সম্মানের বিষয়ে জোর দিয়েছেন তাঁরা।
শান্তি পুনঃস্থাপন
দুই নেতাই একমত হয়েছেন যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধার করা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উপকৃত করবে। সেই কারনেই বিদেশ মন্ত্রীদের পর্যায়ে থাকা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে সীমান্তের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ব্রিকস-এ সহযোগিতা
ব্রিকসে-এর অভ্যন্তরে ভারত ও চিনের ভূমিকা কী হবে সেই নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী এবং জিনপিং। ভারত, আগামী বছর সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO)-তে, চিনের সভাপতিত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
ভারত এবং চিনের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তোলা
বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন যে দুই দেশই এলএসিতে উত্তেজনা প্রশমনের বেশ কিছু ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে। তিনি জানিয়েছে সাপ্রতিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হল দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থাকে আরও জোরদার করা।