ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘তুই আমার হিরো’র (Tui Amar Hero) অভিনেত্রী মোহনা মাইতি (Mohona Maiti) এবং ‘পুবের ময়না’র (Puber Moyna) ময়না অর্থাৎ ঐশানী দে (Aishani De)। এ বছর দু’জনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন (Mohona-Aishani)। একদিকে পরীক্ষার প্রস্তুতি, তো অপরদিকে শুটিংয়ের চাপ। দুই দিক তাঁরা কীভাবে ব্যালেন্স করেছেন? টানা ১০ থেকে ১২ ঘন্টা শুটিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা করা সহজ নয়। কিন্তু এই দুই অভিনেত্রীকে দেখা গেল, একদিকে শুটিং করতে, অপরদিকে পরীক্ষা দিতে। দুটো কাজেই বিন্দুমাত্র ফাঁকি দিলেন না তাঁরা। এ বিষয়ে কী বললেন ট্রাইব টিভিকে?
পরীক্ষার পাশাপাশি শুটিং (Mohona-Aishani)
দুই অভিনেত্রী পরীক্ষার আগের কয়েকদিন ছুটি পেয়েছিলেন (Mohona-Aishani)। কিন্তু আবার এমনও দিন গিয়েছে যে, পরীক্ষার পরেই ফিরে এসেছেন শুটিং ফ্লোরে। প্রত্যেকটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি বেশ ভালোই ছিল। তবে পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি কাজ চালিয়ে যাওয়া একটু চাপের।
পরীক্ষার সাথে শুটিংয়ে অভ্যস্ত মোহনা (Mohona-Aishani)
মোহনা মাইতির কথায়, যখন তিনি দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দেন, তখনও ঠিক একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন (Mohona-Aishani)। কারণ তখন চলছিল তাঁর ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিক। তারপর যখন একাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা হয়, তখনও একই পরিস্থিতি। তখন ছোট পর্দায় চলছে ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’। আর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় চলছে ‘তুই আমার হিরো’। মোহনার কথায়, এটা তিনি মেনে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য “আমার শুটিং শুরু হলেই বোর্ড এক্সাম থাকে। পরীক্ষার সাথে শুটিং করাটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। আর কাজের মধ্যে থেকে পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা ভালো হয়।” অভিনেত্রী কাজের পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতিও সেরে রাখেন।
আরও পড়ুন: Chirodini Ami Je Tomar: ভিক্টোরিয়ায় খোশ মেজাজে জিতু-দিতিপ্রিয়া! একসাথে কী করলেন তাঁরা?
মায়ের সাপোর্ট
মোহনার গণিত নিয়ে পড়ার খুব ইচ্ছা আছে । মোহনার মা মেয়েকে সব সময় সাপোর্ট করেন। মেয়েকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়া, পরীক্ষা থেকে নিয়ে আসা, শুটিং ফ্লোরে নিয়ে যাওয়া, সময়ে সময়ে খাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সমস্ত দিক খেয়াল রাখেন। শুটিংয়ের মাঝে যখন একটু অফ টাইম পান, তখন মেকআপ রুমে মোহনা বই পড়েন।
আরও পড়ুন: Sikandar Naache Song: ‘সিকান্দার নাচে’! সালমান খানের নতুন গানে মাতোয়ারা ভক্তরা
ঐশানীর জীবনে সেরা অভিজ্ঞতা
ময়না অর্থাৎ ঐশানীর ক্ষেত্রে কিন্তু এই প্রথমবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হল। একদিকে বোর্ড এক্সাম, অপরদিকে শুটিংয়ের চাপ। এই অভিজ্ঞতাকে ঐশানী তাঁর জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছেন। পরীক্ষার আগে থেকেই প্রোডাকশন হাউসের তরফ থেকে অভিনেত্রীকে সাপোর্ট করা হয়েছে। বেশিরভাগ পরীক্ষার আগের দিন ময়না ছুটি পেয়েছেন। তাড়াতাড়ি শুটিং সেরে বাড়ি চলে গিয়েছেন। যাতে বাড়িতে গিয়ে একটু পড়তে পারেন। এছাড়াও শুটিং ফ্লোরে কাজের মাঝে ফাঁক পেলে পড়তে বসে যেতেন ময়না। শুটিং করে দেরিতে বাড়ি ফিরলেও কল টাইম সেভাবেই রাখা হত। যাতে শুটিংয়ের অসুবিধা না হয় এবং পরীক্ষা খুব ভালো ভাবে দিতে পারেন। পুরো বিষয়টার দিকে লক্ষ্য রেখেছে প্রোডাকশন হাউস। তাই ঐশানী প্রোডাকশন হাউসের কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ।