ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য যেমন (Mountain Destination) আকর্ষণীয়, তেমনই তার আশেপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলিও ঠিক ততটাই সুন্দর। সবুজ পাইন আর পাহাড়ে ঘেরা মহালদিরাম এক দশক আগে পর্যটকদের কাছে এতটাও জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সেইদিকেই পা বাড়াচ্ছেন পাহাড়প্রেমীরা। দার্জিলিং যেন আর মন কাড়ছে না। সকলেই খুঁজছেন অফবিট কিছু ঘোরার জায়গা। যেখানে থাকবে না মানুষের ভিড়, শহরের চাকচিক্য, ফটো তোলার হিড়িক। নিরিবিলিতে পাহাড়ে দিন যাপনের সুযোগ খুঁজছেন অনেকেই।
অপরূপ প্রকৃতি (Mountain Destination)
এই জায়গার অপরূপ প্রকৃতির নীরবতা আপনাকে (Mountain Destination) অবাক করবে। সুন্দর, সাজানো, চকচকে দোকান কিংবা পর্যটকদের ভিড় এখানে নেই, তবে প্রকৃতির নিখুঁত সৌন্দর্য এখানেই অনুভব করা যায়। মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা, স্নিগ্ধ, খোলা আকাশ, কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য যেন সবকিছুকে আরও মোহময় করে তোলে। চা বাগানের শ্যামল-সবুজ চিত্র দেখে মনে হবে,প্রকৃতি যেন রং তুলি দিয়ে সাজিয়েছে এই জায়গাটিকে।
কেন যাবেন? (Mountain Destination)
মহালদিরাম ঘুরে আসার প্রধান আকর্ষণ হলো এখানের (Mountain Destination) জনজীবনের সহজ সরল জীবনযাপন। পাহাড়ি গ্রাম ও তাদের মুখের অমলিন হাসি, আর প্রকৃতির মাঝে নিঃসঙ্গতা, আপনাকে যেন শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি দেয়। এক বা দুই দিনের জন্য এখানে আসলে মনটা ভরে যাবে শান্তি আর প্রকৃতির স্নিগ্ধতায়।
আরও পড়ুন: Home Cleaning Tips: ব্যস্ততার মাঝেও বাড়ির চারপাশ রাখুন পরিষ্কার, লাগবে শুধু সঠিক প্ল্যানিং!
আছে কোন কোন গ্রাম?
মহালদিরাম থেকে অল্প দূরত্বেই আছে অহলদাঁড়া, লাটপাঞ্চার, যোগীর ঘাট, চিমনি গ্রাম। এখানে এসে এগুলোও ঘুরে দেখা যায়। পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটলে চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগও রয়েছে। এখানে চা বাগানগুলো বিস্তৃত, আর রাস্তার পিচের প্রলেপে হাঁটার সময় প্রকৃতির রূপ বদল দেখা যায় বিকেলের আলোয়।

কীভাবে যাবেন?
এখানে যাবার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে মাটিগাড়ার রাস্তা ধরে গেলে মহালদিরাম পৌঁছাতে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। দার্জিলিং থেকে দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার, আর কার্শিয়াং থেকে ১৫ কিলোমিটার। তাই দার্জিলিং ঘুরে মহালদিরামে আসা একেবারেই সহজ ও সম্ভব।
থাকার জায়গা
থাকার জন্য মহালদিরামে চা-বাগানের পাশেই রয়েছে হোম স্টে। এখানে থাকার খরচ মাথাপিছু ১২০০-২০০০ টাকার মধ্যে। গ্রামের আনাচে-কানাচে আরও কিছু হোম স্টে রয়েছে। এই হোম স্টেগুলোর অবাক করা ভালো ব্যবহার আর পাহাড়ি রান্না মন কাড়বেই আপনার।