ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতে পরকীয়া এখন আর শাস্তিযোগ্য (MP High Court on Adultery) অপরাধ নয়। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪৯৭ ধারাটি বাতিল করার পর থেকে বিয়ের বাইরে প্রেমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট একটি দাম্পত্য কলহ সংক্রান্ত মামলায় পরকীয়ার সংজ্ঞা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে। আদালত স্পষ্ট করেছে যে, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ককে পরকীয়া বলা যায় না।
ভরণপোষণের রায়কে চ্যালেঞ্জ (MP High Court on Adultery)
মধ্যপ্রদেশের একটি পারিবারিক আদালতে দাম্পত্য কলহের একটি (MP High Court on Adultery) মামলা হয়েছিল। এই মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পত্তি এবং আর্থিক বিরোধ নিয়ে তর্কবিরোধ চলছিল। স্ত্রীকে প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা স্বামী চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। স্বামী দাবি করেছিলেন, তার স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, তাই তিনি ভরণপোষণের জন্য অধিকারী নন।
পরকীয়ার সংজ্ঞা কী? (MP High Court on Adultery)
এই বিষয়ে আদালত উল্লেখ করেছে যে, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২৫(৪) ধারার অধীনে কেবলমাত্র (MP High Court on Adultery) ব্যভিচারে লিপ্ত অর্থাৎ আইন অনুসারে বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকারী স্ত্রীকে ভরণপোষণ থেকে বঞ্চিত করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, অন্য ব্যক্তির প্রতি স্ত্রীর আবেগগত সংযুক্তি থাকলেও, তা পরকীয়া হিসাবে গণ্য হবে না যতক্ষণ না সেটি শারীরিক সম্পর্কের পর্যায়ে পৌঁছায়।
প্রমাণই বলবে শেষ কথা
স্বামী আদালতে জানিয়েছিলেন যে, স্ত্রী একটি বিউটি পার্লার চালান এবং তার যথেষ্ট আয় রয়েছে। কিন্তু তিনি এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রমাণ না হলে স্ত্রীকে ভরণপোষণ দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
শারীরিক সম্পর্ক থাকলেই পরকীয়া
এই রায়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক ও আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নতুন করে পরকীয়ার সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে এবং জানিয়েছেন যে, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য ব্যক্তির প্রতি আবেগগত সম্পর্ককে পরকীয়া হিসেবে গণ্য করা যাবে না।

বৈবাহিক সম্পর্কের বন্ধন
এটি বিবাহিত জীবনের সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের দিকটিকে পুনর্বিবেচনা করার কথা তুলে ধরে। বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যে ধরনের আবেগ ও সম্পর্ক রয়েছে, সেটি শারীরিক সম্পর্কের অভাবে নষ্ট হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালতের এই সিদ্ধান্ত দাম্পত্য জীবন ও সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের প্রভাব ফেলবে, যা ভবিষ্যতে বিবাহিত জীবনের চিত্রটিকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরবে।