ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াকফ আইনের (Murshidabad Waqf Violence Case) বিরোধিতায় গত কয়েকদিন ধরে মুর্শিদাবাদের নানা জায়গায় গোলমাল হয়েছে। ভাঙচুর, আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। অনেক পরিবার ঘরছাড়া। এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে এনআইএ তদন্তের আর্জি জানান প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও সংযুক্তা সামন্ত। কিন্তু, ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ (Murshidabad Waqf Violence Case)
মুর্শিদাবাদের হিংসার জেরে অনেক পরিবার ঘরছাড়া। আক্রান্তের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও আক্রান্তদের সহযোগিতার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Murshidabad Waqf Violence Case)। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয়। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। কিন্তু, ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
পরিস্থিতি অনেক বেশি স্বাভাবিক (Murshidabad Waqf Violence Case)
রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, আরপিএফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্য পুলিশদের শীর্ষ আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। আগের থেকে পরিস্থিতি অনেক বেশি স্বাভাবিক। তাই এখনই এনআইএ তদন্তের কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন না (Murshidabad Waqf Violence Case)।
মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্তকারী কমিটি গঠন করা যেতে পারে। পুনর্বাসনকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। যতদিন না তা হচ্ছে শান্তি রক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যের দায়িত্ব। এও জানানো হয়েছে, প্রথম উদ্দেশ্য মানুষকে ঘরে ফেরানো। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসের তিনজন সদস্য মিলে দেখতে পারে কারা ঘরে ফিরতে পারেননি।
বাড়িতে ফিরেছে ঘরছাড়ারা
আদালতে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, হিংসার জেরে ৩৮টি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছিল এবং তারা সকলেই নাকি নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছে। অপরদিকে পুলিশ সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করে তদন্ত চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ২৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। এদিকে এলাকর সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার পদক্ষেপও করেছে বলে কল্যাণ দাবি করেন হাইকোর্টে।