ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যপাল বোসকে সামনে পেয়েই নিজেদের (Murshidabad Waqf Violence) ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা শোনালেন ধুলিয়ানের মহিলারা। এই নিয়ে পরে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন বোস। মুর্শিদাবাদ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাথে দেখা করতে ১৮ এপ্রিল মালদার শিবিরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কান্নায় ভেঙে পড়েন দুর্গতরা (Murshidabad Waqf Violence)
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুন জ্বলেছিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Waqf Violence)। সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তিতে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। সেখানেই হাজির জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। আজ শনিবার বেতবোনায় মহিলা কমিশনের সদস্যরা পৌঁছন। সব হারিয়ে প্রতিনিধি দলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুর্গতরা। হাড়হিম করা অভিজ্ঞতার কথা শোনান মহিলারা। এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প চাই। না হলে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরা যাবে না। সেই দাবিও তোলা হয়েছে প্রতিনিধি দলের কাছে।
ভিড় করেছিলেন ঘরছাড়ারা (Murshidabad Waqf Violence)
শনিবার সামশেরগঞ্জের বেতবোনায় পৌঁছয় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয়া রাহাতকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। তাঁদের আসার আগেই ওই এলাকায় ভিড় করেছিলেন ঘরছাড়া দুর্গতরা (Murshidabad Waqf Violence)। বিজয়া রাহাতকার ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের দেখে মাটিতে শুয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুর্গতরা। কীভাবে হামলা চলেছে? ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে থাকেন তাঁরা। ওই এলাকায় বহু বাসিন্দার ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভেঙে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে এলাকায় তৈরি আশ্রয় শিবির, ক্যাম্পে ঠাই হয়েছে দুর্গতদের।
বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে
এখন এলাকায় বিএসএফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ রয়েছে। বাহিনী চলে গেলে তারপর কী হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে ক্যাম্পের জন্য ওই এলাকায় দুর্গতরা তাঁদের বাড়িও ছেড়ে দেবেন। সেই কথাও এদিন কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে বলতে শোনা গিয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, ‘এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায় আক্রান্ত হয়েছেন। এক দল মারবে, অন্য দল আক্রান্ত হবে, কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা হতে পারে না। এখানে যে অশান্তি হয়েছে, তা কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি এখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে এখনও আতঙ্কের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এভাবে মানুষ বেঁচে থাকতে পারেন না।’
লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করা হয়েছিল
রাজ্যপালের দাবি, মহিলারা তাঁকে বলেন যে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদের লাঞ্ছিত ও নির্যাতনও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি তাঁদের সমস্যার কথা বিস্তারিতভাবে শুনেছি এবং তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। মহিলারা জানান যে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে, মারধরও করে। তাঁরা কী চায়, সেই বিষয়ে আমাকে বলেছেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।