ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ক্ষতির মুখে পড়ায় (New Air Route), বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্মকর্তারা নতুন বিমানের পথ খুঁজে বের করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।
পাহালগাম হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ (New Air Route)
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে এক মর্মান্তিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, হামলায় পাকিস্তানি নাগরিকরা জড়িত (New Air Route)। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য বন্ধ করে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতও পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
ভারতের নতুন রুটের সন্ধান (New Air Route)
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহার করতে হচ্ছে (New Air Route)। এই বিকল্প রুটগুলো দীর্ঘতর হওয়ায় জ্বালানি খরচ এবং ভ্রমণের সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত সরকার এখন নতুন ফ্লাইট রুটের সন্ধান করছে যাতে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়া যায়। এই রুটে দিল্লি থেকে লেহ-এর উত্তরে গিয়ে হিন্দুকুশ পর্বতমালা পেরিয়ে কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান হয়ে ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছানো যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে প্রভাব
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রভাব পড়েছে। দিল্লি থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ফ্লাইটগুলো এখন দক্ষিণ দিকে ঘুরে আহমেদাবাদের কাছ দিয়ে আরব সাগর পেরিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে ফ্লাইটের সময় ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হচ্ছে। 
আরও পড়ুন: India Close Airspace : পহেলগাঁও হামলায় আরও কড়া পদক্ষেপ! পাক বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (ICAO) হস্তক্ষেপের চিন্তা
ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO)-র কাছে পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারে। ভারতের মতে, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ ১৯৪৪ সালের সিভিল অ্যাভিয়েশন কনভেনশনের পরিপন্থী। এই কনভেনশন অনুযায়ী, কোনও দেশ অন্য দেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে বাধা দিতে পারে না।
কতদিন চলবে এই পরিস্থিতি?
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহার করতে হচ্ছে, যার ফলে সময় ও খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত সরকার নতুন রুটের সন্ধান করছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।