ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৫০ বছরের পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে খুন(Madhyamgram Incident) করার পরে তাঁর দেহটি ট্রলি ব্যাগে ভরে ট্যাক্সিতে চাপিয়ে মঙ্গলবার সকালে মধ্যমগ্রামের বাড়ি থেকে কুমোরটুলি ঘাটে এসেছিল আরতি ও ফাল্গুনী। গঙ্গায় দেহ ফেলার আগেই এলাকার লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা চেপে ধরেন মা ও মেয়েকে। তখনই ট্রলি ব্যাগ খোলা হলে দেহটি উদ্ধার হয় এবং মা-মেয়েকে গ্রেফতার করে উত্তর বন্দর থানা। এই ঘটনা থেকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো এবারে।
৫০ হাজার টাকার গয়না অর্ডার (Madhyamgram Incident)
জানা যাচ্ছে রবিবার খুনের পরে সোমবার বাড়িতে দেহটি রেখে তারা কলকাতায় এসেছিল(Madhyamgram Incident)। বৌবাজারের একটি সোনার দোকানে গিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার গয়না অর্ডার করে তারা। সেই রসিদ উদ্ধার হয়েছে। এত টাকা তারা কোথায় পেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর্থিক ভাবে সচ্ছল ছিল না মা-মেয়ে।
সম্পত্তির জন্যই খুন (Madhyamgram Incident)
সুমিতার দিদি শিপ্রা ঘোষ বুধবার দাবি করেছেন, সম্পত্তির জন্যই তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে(Madhyamgram Incident)। সুমিতারা দশ ভাই-বোন। অসমের জোরহাটে সুমিতার পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলায় যাবেন বলে দিদির শিয়ালদহের বাড়ি থেকে বেরোন সুমিতা। তখন তাঁর গায়ে অনেক গয়না ছিল, যা মৃতদেহে ছিল না বলেই বোনের দাবি।

আরও পড়ুন: Local Train Service Disrupted: ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ব্যান্ডেল লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যহত
ব্যাঙ্কের লকারে সোনার গয়না
পুলিশ জানিয়েছে, সুমিতার ব্যাঙ্কের লকারে সোনার গয়না রয়েছে। অ্যাকাউন্টে রয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। সেই সব হাতাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুমিতার মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে ফাল্গুনীর ধস্তাধস্তি হয়েছিল। তার পরেই দেওয়ালে মাথা ঠুকে এবং ইট দিয়ে আঘাত করে সুমিতাকে খুন করা হয়। খুনের পরে ঘরেই দেহটি রেখে দিয়েছিল মা-মেয়ে। দুর্গন্ধ ঢাকতে সুগন্ধি ছড়িয়েছিল তারা। ওই দিন সুমিতারই ট্রলি ব্যাগে দেহটি ভরা হয়।