ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করেছেন (Trump to leave WHO)। এর মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে আমেরিকা।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ফিরে এই নথিতে স্বাক্ষর করার সময় বলেন, “ওহ, এটা একটা বড় ব্যাপার।” এটি ছিল তার প্রথম দিনে স্বাক্ষরিত অসংখ্য এক্সিকিউটিভ আদেশের মধ্যে একটি।
দ্বিতীয়বার একই আদেশ (Trump to leave WHO)
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রাম্প WHO থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন আমেরিকাকে (Trump to leave WHO)।
ট্রাম্প WHO-এর কোভিড-১৯ মোকাবিলার পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন এবং মহামারির সময় আমেরিকাকে জেনেভা-ভিত্তিক এই সংস্থা থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তবে পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন।
আরও পড়ুন: Donald Trump Speech: দাবানল নিয়ে সতর্ক ট্রাম্প, ট্রাম্পের নজরে গাল্ফ অফ মেক্সিকো
প্রথম দিনেই এই পদক্ষেপ নেওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আমেরিকা এবার WHO থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াবে।
কী বললেন ট্রাম্প? (Trump to leave WHO)
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, “তারা আমাদের ফেরাতে চেয়েছিল, এখন দেখা যাক কী হয়,” এই মন্তব্য হয়তো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতে আমেরিকা ফিরে আসতে পারে (Trump to leave WHO)।
কী বলা হল আদেশে?
এই আদেশে বলা হয়েছে, “কোভিড-১৯ মহামারি এবং অন্যান্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংকটে WHO-এর ব্যর্থতা, প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার ক্ষেত্রে অক্ষমতা, এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুপযুক্ত রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আমেরিকা সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।”
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে WHO-তে “অন্যায়ভাবে বিশাল অর্থ প্রদান” এই সিদ্ধান্তের আরেকটি কারণ। WHO জাতিসংঘের একটি অংশ।
কী বলেছিলেন প্রথমবার?
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প WHO-কে “চীন-কেন্দ্রিক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় এর নির্দেশিকা নিয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: JD Vance: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন জেডি ভ্যান্স
বাইডেনের আমল
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমেরিকা WHO-র সবচেয়ে বড় অর্থদাতা হিসাবে থেকে যায়। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির বাজেটের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ যোগান দেয়। WHO-এর বার্ষিক বাজেট প্রায় ৬.৮ বিলিয়ন ডলার।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এটি শুধুমাত্র আমেরিকানদের স্বাস্থ্যের উপর নয়, বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, টিউবারকুলোসিস এবং এইচআইভি-এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে কাজ করা আশীষ ঝা আগে সতর্ক করেছিলেন যে WHO থেকে বেরিয়ে যাওয়া “বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব এবং বৈজ্ঞানিক দক্ষতায়ও ক্ষতি করবে।”
গ্লোবাল পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ লরেন্স গোস্টিন এই সিদ্ধান্তকে “একটি বিপর্যয়কর প্রেসিডেন্সিয়াল সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই পদক্ষেপ বিশ্ব স্বাস্থ্যে গভীর ক্ষত তৈরি করবে, এবং আমেরিকার জন্য এটি আরও বড় ক্ষতি।”