ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিউ টাউনের বাসিন্দারা (New Town) রাস্তায় বিপদে পড়লে বিপদঘণ্টি বা প্যানিক বোতাম টিপে সাহায্য চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তথ্যপ্রযুক্তির জটিলতার কারণে আপাতত শিকেয় উঠেছে এই পরিষেবা।
বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা (New Town)
ফলে, নিউ টাউনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সিসি (New Town) ক্যামেরার উপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী তিন মাসে নিউ টাউনে ৩০০টি নতুন সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নিউ টাউনে প্রায় এক হাজার সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
বোতাম বসলেও চালু হয়নি (New Town)
নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) সূত্রে জানা (New Town) গিয়েছে, কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পের আওতায় নিউ টাউনের ১ নম্বর অ্যাকশন এরিয়ায় ৪০০-রও বেশি প্যানিক বোতাম বসানো হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে সেগুলি চালু করা যায়নি।
আরও পড়ুন: Doctors’ Salary: মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণা, জুনিয়র ডাক্তারদের বাড়ছে বেতন!
বাসিন্দাদের মতামত
বাসিন্দারা জানান, গত চার বছর ধরে এই প্যানিক বোতামগুলি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নিউ টাউন সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর গুপ্ত বলেন, ‘‘এখানে রাস্তা ফাঁকা। সর্বত্র আলোরও জোর নেই। অতীতে রাস্তায় ছিনতাই হয়েছে। এবার তো ধর্ষণ ও খুন হল। প্যানিক বোতাম চালু হলে তা নাগরিকদের জন্য ভাল হবে।’’
বাস্তবায়িত হবে কবে?
এনকেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যানিক বোতামগুলি ডঙ্গলের মাধ্যমে যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই পদ্ধতি কাজ করেনি। এখন ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে প্যানিক বোতাম চালুর চেষ্টা চলছে। তবে এই প্রক্রিয়া কত দিনে বাস্তবায়িত হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, ব্যবহারের উপায় না জেনেই কেন প্যানিক বোতামগুলি বসানো হয়েছিল?
জোরালো প্যানিক বোতাম চালুর দাবি
নিউ টাউনে সম্প্রতি এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের মর্মান্তিক ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এই ঘটনার পরেই প্যানিক বোতাম চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। এনকেডিএ জানিয়েছে, প্যানিক বোতাম চালু হলে রাস্তায় সমস্যায় পড়া ব্যক্তিরা তা টিপলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়বে। ফলে পুলিশ দ্রুত সাহায্য করতে পারবে এবং দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: Panagarh Road Accident: মত্ত যুবকদের ধাওয়ায় উল্টে গেল গাড়ি, পানাগড়ের রাস্তাতেই মৃত্যু তরুণীর!
এনকেডিএ-র এক পদস্থ আধিকারিকের দাবি, ‘‘সারা ভারতে কোথাও প্যানিক বোতাম চালু হয়নি। সর্বত্রই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চলছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে পরিষেবাটি চালু করা যায়।’’ নিউ টাউনে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় সাইকেল বে ও শারীরচর্চার যন্ত্রও বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিও জনজীবনের সঙ্গে তেমনভাবে জড়িয়ে উঠতে পারেনি। বাসিন্দারা আশা করছেন, শীঘ্রই প্যানিক বোতাম চালু হলে তাদের নিরাপত্তা বাড়বে এবং নিউ টাউন একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠবে।