ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আলু বীজ লাগানোর মরশুম প্রায় শেষের মুখে। এবার সেভাবে বিক্রিই হয়নি পাঞ্জাব থেকে আনা আলুর বীজ (No sale potato seed)। মরসুমের শেষ লগ্নেও ব্যবসায়ীদের গুদামে জমে রয়েছে টন টন আলু বীজ (potato seed)। কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রমী ছবি? বীজের অত্যধিক দামের কারণেই কী পাঞ্জাবের বীজের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা? উত্তর খুঁজছে কৃষি দফতর।
রাজ্যের আলু উৎপাদক জেলা গুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া (Bankura)। জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার সোনামুখী, ইন্দাস, বিষ্ণুপুর, পাত্রসায়ের, জয়পুর, কোতুলপুর এছাড়াও বড়জোড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় আলুর চাষ হয়। আলু চাষের ক্ষেত্রে এতদিন মূলত পাঞ্জাব (Punjab) থেকে আসা ভালো মানের আলু বীজের উপরই নির্ভর করতেন ওই এলাকার চাষীরা। ফলে আলু চাষের মরশুম শুরুর আগেই পাঞ্জাব থেকে ভালো মানের টন টন আলুর বীজ (No sale potato seed)এনে মজুত করতেন একশ্রেণীর বীজ ব্যবসায়ী। এবারও তেমনটাই করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: গীতা জয়ন্তীতে গ্রামীন মহিলাদের সমবেত আরতি মন্মথপুরে
কিন্তু আলু বীজ বিক্রির ছবিটা এবার হঠাৎ বদলে গেছে। হা পিত্যেশ করে বসে থেকেও সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না পাঞ্জাব থেকে আনা আলুর বীজ। ফলে মরশুমের শেষ লগ্নেও ব্যবসায়ীদের গুদামে জমে রয়েছে পাঞ্জাব থেকে আনা টন টন আলুর বীজ। কিন্তু কেন এমনটা হল। ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে এবছর পাঞ্জাব থেকে আলুর বীজ কিছুটা দেরিতে এসেছে। তার আগেই স্থানীয়ভাবে আলুর বীজ সংগ্রহ করে বহু চাষী জমিতে বীজ বপন করে ফেলেছেন। ফলে বিক্রি কমেছে পাঞ্জাবের আলু বীজের (potato seed)।
চাষীরা অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তাঁদের বেশিরভাগেরই যুক্তি পাঞ্জাবের আলু বীজের অত্যধিক দাম হওয়ার কারণে সেই আলুর বীজ কিনতে পারেননি। উৎপাদন তুলনামূলক কম হবে জেনেও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের আলুর বীজ (potato seed) দিয়েই চাষ করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ অবশ্য অন্য যুক্তিও দেখিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, উৎপাদিত আলুর বাজার নিয়ে সরকারি নীতির অনিশ্চয়তার কথা ভেবে তাঁরা ধীরে ধীরে আলুর চাষ কমিয়ে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তার জেরেই কমেছে পাঞ্জাব থেকে আনা আলুর বীজের চাহিদা (No sale potato seed)।
কৃষি দফতর অবশ্য আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ হারানোর কথা মানতে নারাজ। কৃষি আধিকারিকদের দাবী জেলায় অন্যান্য বছর যে পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয় এবারও তাই হয়েছে। তারপরেও কেন পাঞ্জাব থেকে আনা আলুর বীজ সেভাবে বিক্রি হয়নি তা তাঁদের জানা নেই।
আলুর মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। উর্ধ্বমুখী আলুর দাম নিয়ে রফতানিতে রাশ টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)। সীমান্ত সিল করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অন্য রাজ্যে আলুর রফতানি বন্ধ হয়েছে। সরকারি নীতির অনিশ্চয়তায় কী আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা? নাকি লাভের মুখ না দেখে, চাষীরা এবার খুঁজছেন আলু চাষের বিকল্প উপায়? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।