ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সরগরম (Oil Import) বিশ্ব রাজনীতি। রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট-এর হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সংকট (Oil Import)
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে যেমন সংকটে বহু মানুষের প্রাণ তেমনই এর প্রভাব পড়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ বহু দেশে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা বলার সাথে সাথে ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর কথাও ঘোষণা করেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন। বিবিসির সাথে ফোনালাপে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘তিনি রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যাপারে হতাশ, তবে তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেননি এখনও’। এই হুঁশিয়ারির সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতকে। রাশিয়া থেকে তেল এবং জ্বালানি আমদানির জন্য ভারতের উপর জরিমানা ধার্য কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার বিকল্প দেশ (Oil Import)
আমেরিকার হুঁশিয়ারির পরেই রাশিয়া বিশ্ব বাজারে তেলের দাম এক লাফে অনেকটা কমিয়ে দেয়, ফলে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অনেকটা বেড়ে গেছে, যার ফলস্বরূপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের উপর অসন্তুষ্ট। ভারত তার আগের অবস্থান থেকে যদি সরে আসে তবে রাশিয়ার বিকল্প হতে পারে ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ছাড়াও আমেরিকা এবং নতুন দেশ হিসাবে ব্রাজিলকে যোগ করা যেতে পারে।

ভারতের অবস্থান (Oil Import)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন একদিকে হুমকির কথা বলছেন অন্যদিকে ভারত জানিয়েছে সে তার আগের অবস্থান থেকে (Oil Import) কোনোভাবেই সরে আসবে না। ভারতীয় বাজারে বিপুল চাহিদার জন্য ভারত ৮৫ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে রপ্তানি করে যার মধ্যে ৩৫ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে (যদিও এই পরিসংখ্যান মে মাসের)।
আরও পড়ুন : Donald Trump: আমেরিকার শুল্ক চাপ, বাণিজ্যিক সমঝোতায় কী কী ছাড় দিতে পারে ভারত?
রাশিয়াকে জব্দ করতে অন্য দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা সহ ইউরোপের দেশগুলো। সংবাদ সংস্থা রইটার্সর দাবি ‘কেনা বন্ধ করার কথা বললেই বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয় কারণ তেল কেনার দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি রয়েছে’। এখন গোটা বিশ্ব সহ সবাই তাকিয়ে রয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভারত আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোনদিকে যায়।