ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কিছু কর্মরত অভিভাবক সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য ন্যানি রাখেন (Woman Tax)। তবে, একটি অদ্ভুত ব্যবস্থায়, এক মহিলা সন্তান জন্ম দেওয়া ও লালন-পালনের জন্য প্রতি মাসে তার স্বামীর থেকে নির্দিষ্ট অর্থ পান।
মহিলা ট্যাক্স (Woman Tax)
সন্তান জন্ম দেওয়া অনেক দম্পতির জন্য আনন্দ এবং গর্বের উৎস। তবে ক্যামিলা নামের এক মহিলার ঘটনা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার বিনিময়ে তার স্বামী তাকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেন (Woman Tax)।
ক্যামিলা এই অর্থকে “ওম্যান ট্যাক্স” বলে উল্লেখ করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা খোলামেলা আলোচনা করেছেন। ক্যামিলা বলেন, এটি তার সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ।
আরও পড়ুন: Donald Trump Inauguration: ক্যাপিটালের উদ্দ্যানে নয়, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ইনডোরে
প্রতি মাসে ১৭,৯৩৮ টাকা ক্ষতিপূরণ (Woman Tax)
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যামিলা জানান যে তার স্বামী তাকে প্রতি মাসে প্রায় ১৭,৯৩৮ টাকা দেন (Woman Tax)। এই টাকা তিনি দুটি কিস্তিতে পান। প্রতি কিস্তিতে তার স্বামী ৮৫ পাউন্ড দেন, যা প্রায় ৯,০০০ টাকার সমান। বছরে এই পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২,৬৩,৮০৬ টাকা, যা ক্যামিলা “ওম্যান ট্যাক্স” বলে উল্লেখ করেন।
ক্যামিলা বলেন, “কারণ, আমাকে প্রতি মাসে এক সপ্তাহ পিরিয়ডের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় এবং দুইটি কষ্টকর গর্ভধারণের মধ্য দিয়ে সন্তান জন্ম দিতে হয়েছে।” তিনি আরও জানান, তার গর্ভাবস্থায় মারাত্মক বমিভাব ছিল এবং দুইবারই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হয়েছে।
স্বামীর উদ্যোগে ট্যাক্স ব্যবস্থা
ক্যামিলা আরও জানান, “ওম্যান ট্যাক্স”-এর ধারণাটি তার নিজের নয়, বরং তার স্বামীর। তার স্বামীই এই ব্যবস্থা চালু করেছেন, যা দুই কিস্তিতে প্রদান করা হয়। এই টাকা ক্যামিলার ব্যক্তিগত খরচ, যেমন ম্যানিকিউর এবং পেডিকিউর, যা তাকে আনন্দ দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
ক্যামিলার এই ভিডিও হাজার হাজার মানুষ দেখেছেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “তাহলে আপনার স্বামীও ‘ম্যান ট্যাক্স’ পাওয়ার দাবি করতে পারেন, কারণ তিনি আপনাকে শুনতে বাধ্য!” আরেকজন লেখেন, “প্রত্যেক স্বামীকেই তাদের স্ত্রীর জন্য এ ধরনের কিছু করা উচিত।”
এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয়বস্তু। কেউ একে সমর্থন করছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন এই ধরনের ব্যবস্থার নৈতিকতা নিয়ে।