ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৮ সালের পর প্রথমবার নির্বাচিত সরকার পেলেও জম্মু ও কাশ্মীরের(Omar Abdullah) পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে মনে করছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। কাশ্মীরে এখন আপাত শান্তির পরিবেশ। তবে সেই শান্তি স্বতঃস্ফূর্ত নয়। গায়ের জোরে এই শান্তি স্থাপন করা। কাশ্মীরে ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই উপলব্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রকে নিশানা করে ওমর বলছেন, “এভাবে বেশিদিন শান্তি বজায় রাখা যায় না।” তাঁর মতে, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে জোরপূর্বক স্বাভাবিকতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা (Omar Abdullah)
সম্প্রতি দিল্লির একটি আলোচনা সভায় ওমর আবদুল্লা সরাসরি নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেন(Omar Abdullah)। তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরে স্বতঃস্ফূর্ত কোনও শান্তি ফেরেনি, বরং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে।” উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “শব-এ-বরাতের দিন শ্রীনগরের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মসজিদ বন্ধ রাখা হয়েছিল, যা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী।”
জোর করে স্বাভাবিকতা ফেরানোর চেষ্টা (Omar Abdullah)
দিল্লিতে একটি আলোচনাসভায় ওমর উপত্যকায় ২০১০ সালের ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন(Omar Abdullah)। তিনি জানান, ২০১০ সালে বিক্ষোভের সময় ২০০ জনেরও বেশি যুবক নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় প্রশাসনের ভূমিকার সঙ্গে ও সাম্প্রতিককালের তুলনা টানেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিলের পরে কাশ্মীর উপত্যকায় জোর করে স্বাভাবিকতা ফেরানোর চেষ্টা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও স্বতস্ফূর্ততা ছিল না। ছিল বলপ্রয়োগ।”
জনাদেশের প্রতি মর্যাদাহীনতা
প্রশাসনিক কাঠামো নিয়েও তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর হাতে পুলিশ ও আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা ছিল। কিন্তু এখন জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় এই ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে চলে গেছে। ওমরের মন্তব্য, “গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে যদি পর্যাপ্ত ক্ষমতা না থাকে, তবে তা জনাদেশের প্রতি মর্যাদাহীনতারই ইঙ্গিত দেয়।”
প্রভাব ক্ষণস্থায়ী হতে বাধ্য
ওমরের বক্তব্য, “এভাবে যদি ভয় দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করানো হয়, তার প্রভাব কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হতে বাধ্য।” তাঁর মতে, সরকারের উচিত বাস্তবসম্মত ও গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষের আস্থা অর্জন করা, কেবল জোরজবরদস্তি করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা নয়। এদিন সতর্ক করে ওমর আবদুল্লা বলেন, “যদি ভয় দেখিয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে না।”