ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Mamata Banerjee)। ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত তিন মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নতুন করে সমস্ত বিষয় জানাতে বলা হয়েছে। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপের ফলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আজ, বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলা মিটে গেলেই রাজ্যে ২-৩ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
মমতার মুখে সুপ্রিম প্রশংসা (Mamata Banerjee)
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য জানিয়েছে যে, ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়ে নতুন সমীক্ষা শুরু হয়েছে । কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য, তা নতুন করে যাচাই করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেন, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে নতুন সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছেএবং এই কারণে তিনি আবেদন করেন যে, ওবিসি মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত রাজ্যের আর্জি মেনে তিন মাস সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। রাজ্যের আবেদন শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
২-৩ লক্ষ নিয়োগের ঘোষণা (Mamata Banerjee)
বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ওবিসি নিয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। খারাপ কিছু বলেনি। এই সমস্যা মিটে গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ২-৩ লক্ষ নিয়োগ হবে।’’ পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বার বার বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সেটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বিরোধীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, ‘আমার সঙ্গে শত্রুতা করে নিয়োগ আটকাবেন না। নিয়োগ আটকানোর খেলা খেলবেন না! মানুষ তৈরি হচ্ছে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য।’ ফুরফুরা শরিফে যেদিন মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন, সেদিনও ইফতারের মঞ্চ থেকে ওবিসি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন যে, বিরোধীরা মামলা করে নিয়োগ আটকে রাখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন : WB Police: খালি রাজ্য পুলিশের একাধিক পদ, নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ!
রাজ্যে ওবিসি শংসাপত্রের পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ না হওয়া নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত ২২ মে, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাই কোর্টের এই নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়, পাশাপাশি অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরও হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। মঙ্গলবার রাজ্য জানায় যে, নতুন সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে এবং সে কারণে শীর্ষ আদালতের কাছে তিন মাস সময় চাওয়া হয়। শীর্ষ আদালত রাজ্যের আর্জি মেনে তিন মাস সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।