ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত বছরের আগস্টে (One Year of RG Kar Case) আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জোরালো প্রশ্ন উঠে আসে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার ও পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবিতে উঠে আসে-সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবর্তে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী, পর্যাপ্ত সিসিটিভি, প্যানিক বাটন, আলাদা বিশ্রামঘর, এবং আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থার কথা। এক বছর কেটে যাওয়ার পর, পরিস্থিতি কিছুটা বদলালেও এখনও অনেক দাবি অপূর্ণ রয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন (One Year of RG Kar Case)
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী (One Year of RG Kar Case) মোতায়েন রয়েছে। বসানো হয়েছে ৫০০-রও বেশি সিসিটিভি, নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে। আলাদা বিশ্রামঘর ও জল পরিশোধনের ব্যবস্থাও হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্যানিক বাটন’ প্রকল্প এখনও অসম্পূর্ণ। বিশ্রামঘরে লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন হয়নি এবং বায়োমেট্রিক নজরদারি চালু হয়নি।
বেড়েছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা (One Year of RG Kar Case)
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পুলিশি উপস্থিতি এবং বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর (One Year of RG Kar Case) সংখ্যা বেড়েছে। রাতে চারবার করে টহল দেওয়া হচ্ছে, মহিলা চিকিৎসকদের ওয়ার্ডে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। তবে প্যানিক বাটন ও ঘরে ঘরে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার প্ল্যান বাস্তবায়িত হয়নি। নিরাপত্তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে এখনও সংশয় রয়েছে।
নিরাপত্তা বেড়েছে ঠিকই…
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কিছুটা এগিয়েছে। ২২টি প্যানিক বাটন বসানো হয়েছে, প্রায় ৩০০ সিসিটিভি যুক্ত হয়েছে। তবুও নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা যথেষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করছেন। অনশনকারী আলোলিকা ঘোড়ুইর মতে, নিরাপত্তা বেড়েছে ঠিকই, তবে অনেক সংস্কার থমকে গেছে।

এনআরএস, এসএসকেএম, বাঙুর
এনআরএস হাসপাতালে ক্যামেরার সংখ্যা বেড়েছে এবং ডিসপ্লে বোর্ডে বেডের তথ্য দেখা যাচ্ছে। কিন্তু নজরদারির জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। আন্দোলনকারী পুলস্ত্য আচার্য বলেন, ‘‘শূন্য পরিবর্তন হয়েছে এখানে, থ্রেট কালচার এখনও চলছে।’’ এসএসকেএম হাসপাতালের কিছু জায়গায় প্যানিক বাটন বসানো হয়েছে, ক্যামেরার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বহু জায়গায় এখনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল। এমআর বাঙুর হাসপাতালেও নজরদারি বেড়েছে, কিন্তু প্যানিক বাটন ও তথ্যপ্রদর্শন ব্যবস্থা এখনও হয়নি।
আরও পড়ুন: Mahavatar Narsimha: নতুন টক্কর বক্স অফিসে, ‘মহাবতার নরসিংহ ‘ এর ঝড়ে কাবু সইয়ারা
সব মিলিয়ে বলা যায়, এক বছর পরেও নিরাপত্তায় কিছু উন্নতি হলেও কাঙ্খিত রূপান্তর হয়নি। সিসিটিভি বা বাহিনী থাকলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না-প্রশিক্ষণ, তদারকি ও মনিটরিংয়ের অভাবেই এখনও ভরসা পাচ্ছেন না চিকিৎসকেরা। নিরাপত্তা নিয়ে সত্যিকারের সচেতনতা ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা ছাড়া পরিস্থিতির সার্বিক পরিবর্তন সম্ভব নয়।