ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার পর ভারত প্রতিশোধের যে বার্তা দিয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হল মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। মধ্যরাতের আঁধারে সাঁজোয়া শক্তি নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পাক মাটিতে ভারতীয় সেনার জবাবি হামলা—‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে এই অভিযানে খতম অন্তত ৮০ জন জঙ্গি। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সেনা হামলার কথা স্বীকার করেছে। পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে ভারতের বার্তা স্পষ্ট—এ বার আগুনে খেলা করলে, জবাব আগুনেই।
পাকিস্তানের ৯ জায়গায় হামলা (Operation Sindoor)
সূত্রের খবর, এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ভারতের মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে নিশানা করা হয়েছে একাধিক জঙ্গি পরিকাঠামো। বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের মূল ঘাঁটি, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে (Operation Sindoor)।
আরও পড়ুন: Mock Drill: ৫৪ বছর পর দেশে ‘ব্ল্যাকআউট’ মহড়া, আপৎকালীন প্রস্তুতিতে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এই সব জায়গা থেকেই ভারতে সন্ত্রাসী হানার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রমাণ মেলায়, সুনির্দিষ্টভাবে সেগুলি টার্গেট করেই অভিযান চালানো হয়। এটা কেবল একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়, এটা দেশের আত্মরক্ষার অঙ্গ।”
এই গোটা অভিযানের কড়া নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। সেনা, আইবি ও র’— তিন প্রধান সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অভিযানের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাত দেড়টা নাগাদ শুরু হয় হামলা।
সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে ড্রোন নজরদারির মাধ্যমে জঙ্গিঘাঁটিগুলোর অবস্থান নির্দিষ্ট করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে দূরপাল্লার মিসাইল এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে আঘাত হানা হয় (Operation Sindoor)। অপারেশন চলাকালীন সময়, এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় সেনার তরফে ঘোষণা করে জানানো হয়, “দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস নয়। প্রত্যাঘাত চলবেই।”
যোগ্য জবাবের হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর (Operation Sindoor)
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। রাতেই ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠকে বসে পাক সেনা ও সরকার। পরে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “এটা যুদ্ধের উসকানি (Operation Sindoor)। পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দিতে তৈরি।”
আরও পড়ুন:Military Power: রনংদেহী ভারত-পাকিস্তান!স্থল, জল ও আকাশে কার হাতে কত শক্তি?
তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই প্রত্যাঘাত ছিল ‘রুখে দাঁড়ানোর বার্তা’। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পুলওয়ামা এবং সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতোই এই অভিযান ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকেও আরও শক্তিশালী করবে। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে ফেলতেই এই সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ (Operation Sindoor)।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লেখেন, “ভারত মাতা কী জয়! সেনার উপর দেশবাসীর গর্ব।” কড়া বার্তায় স্পষ্ট—এ বার আর ধৈর্য নয়, প্রত্যাঘাতই হবে ভারতের নীতি।