ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : কসবাকাণ্ডের (Kasba) প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিরোধীরা। কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি-কংগ্রেস। পথ অবরোধও করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কসবা চত্বর।
কসবা কাণ্ডে সরব বিরোধীরা (Kasba)
কসবার (Kasba) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবারই। পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র এবং অস্থায়ী কর্মী। বাকি দু’জন কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর-কাণ্ডের বছরখানেকের মধ্যেই শহরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের ঘটনায় শাসকদল এবং সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
কসবা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ (Kasba)
ঘটনাকে ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিক্ষোভে শামিল হয় বিরোধী দলগুলি। বিক্ষোভে শামিল হয় বিজেপি। কসবা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। কসবায় (Kasba) বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসও। বিজেপি-কংগ্রেসের মতো ডিএসও, বাম-ছাত্র যুব সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। ডিএসও মিছিল করে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের সামনে। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলেজে ২০-৩০টি দুর্নীতির অভিযোগ, ধর্ষণের হুমকি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে বাম-ছাত্র যুব সংগঠন। কলেজে টাঙানো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের।
আরও পড়ুন : Rath Yatra 2025 : দিঘায় প্রথম রথযাত্রা উৎসব, লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম সৈকত শহরে
‘শাসক-যোগ’ তত্ত্ব খারিজ তৃণমূলের
রথযাত্রার দিন এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল (TMC)। এমনকি মূল অভিযুক্তের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের যোগসূত্রও মিলেছে। অভিযুক্তের ‘শাসক-যোগ’ নিয়ে সরব বিরোধীরাও। সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, বাকি দুই ধৃতও টিএমসিপির সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন : Digha Rathayatra: দিঘায় রথের রশিতে টান, সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাড়ু দিয়েই সূচনা…
কসবাকাণ্ডে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে একের পর এক বিরোধী দল। অভিযোগ—আইনের শাসনের বদলে চলছে রাজনৈতিক রক্ষা-কবচ। তদন্ত কতদূর এগোয়, আর আদৌ কি প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে—সে দিকেই এখন নজর শহরবাসীর।