ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গতকাল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) পর্যটকদের উপর এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন মারা গিয়েছেন। গত এক বছর ধরে ছোট মাপের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে চলেছিল উপত্যকাতেই। সূত্রের মতে, সেই ছোট ইঙ্গিতগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিশেষ গুরুত্ব দেননি বলেই আজ এত বড় ঘটনার সম্মুখীন হতে হল বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পরে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি উপদ্রব শেষ হয়ে গিয়েছে বলে নরেন্দ্র মোদী সরকার বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেছেন বারবার। তারপরেও এমন কেন ঘটল প্রশ্ন বিরোধীদের।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করার দাবি (Pahalgam Attack)
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন এমন হামলা হতে পারে সেই গোয়েন্দা তথ্য কেন ছিল না রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের হাতে (Pahalgam Attack)। বিরোধীদের মতে, কাশ্মীর শান্ত হয়ে পড়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা যে ঠিক নয়, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ধারাবাহিক ভাবে চলছে। কেবল পর্যটক যাওয়া মানেই সেই এলাকা যে শান্ত হয়ে পড়েছে এমন ভাবা উচিত নয় সরকারের। অবিলম্বে কেন্দ্রকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।
‘যারা ওই হামলা চালিয়েছে তাঁরা পশু’ (Pahalgam Attack)
প্রধানমন্ত্রী মোদী সৌদিতে পৌঁছেই এই ঘটনা জেনে অমিত শাহকে অবিলম্বে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেন (Pahalgam Attack)। জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স জিতে আসায় স্থানীয় পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের উপরে এসে পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দায় কার তা নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন। আমাদের রাজ্যে আসা পর্যটকদের উপর এ ধরনের হামলা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা ওই হামলা চালিয়েছে তাঁরা পশু, অমানুষ ও ঘৃণ্য।’’
‘৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হলে উপত্যকায় শান্তি ফিরবে’
ঘটনার নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গি হামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এই সরকারই দাবি করেছিল, নোটবন্দির ফলে কালো টাকা ও সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হলে উপত্যকায় শান্তি ফিরবে। এই হামলা সরকারের প্রতিশ্রুতি, নীতি ও প্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিল।’’
কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী
জঙ্গি হামলার নিন্দা করে গোটা দেশকে এক থাকার বার্তা দিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে, এই ধাঁচের ফাঁকা দাবি না করে সরকারের উচিত ওই ঘটনার দায় নিয়ে পদক্ষেপ করা যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।’’ এদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এই ঘটনা নিন্দার অতীত।’’ আরএসএসের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এটা দেশের সংহতির উপরে হামলা। সব রাজনৈতিক দলের উচিত মতভেদ ভুলে এর নিন্দা করা।’’