ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজকের যুগে সুস্থ ও ফিট থাকা যেন এক বড় (Overcoming Laziness) চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের চাপ, অস্থির জীবনযাত্রা আর ফাস্টফুডের আধিপত্যে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। সব মিলিয়ে জীবন যেন একগুচ্ছ সমস্যা নিয়ে ভরা, আর তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সফলতার টানাপোড়েন। এই সমস্ত চাপে মনের অবসাদ ক্রমশ বাড়ছে, যার ফলাফল হচ্ছে অলসতা, অনিদ্রা, মন খারাপ এবং জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের অলস হওয়ার পেছনে কাজ করে চারটি বড় বাধা বা ‘ভিলেন’। এই চারটি ভিলেনের কারণে আমরা অনেক সময় নিজেকে নিষ্ক্রিয় ও উদাসীন মনে করি।
নিজের প্রতি সন্দেহ (Overcoming Laziness)
প্রথমটি হলো নিজের প্রতি (Overcoming Laziness) সন্দেহ। আজকের প্রতিযোগিতামূলক জীবনে সবাই যেন এক অবিরাম দৌড়ে লিপ্ত। এই দৌড়ে পিছিয়ে পড়লে হতাশার ছায়া ঘিরে ধরে। হতাশার থেকেই জন্ম নেয় নিজের প্রতি অবিশ্বাস, যা মনের ভেতর এক গভীর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে আমরা নিজের ক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ি, যার ফলে কাজের উৎসাহ কমে যায় এবং অলসতার প্রবণতা বেড়ে যায়।
‘কনফিউশন’ বা বিভ্রান্তি (Overcoming Laziness)
দ্বিতীয়ত, ‘কনফিউশন’ বা (Overcoming Laziness) বিভ্রান্তি। বিশেষ করে কর্মজীবনে অনেকেই নিজের কাজের ফলাফল নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তারা জানেন না, তারা সঠিক পথে আছেন কিনা। অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ এবং তা যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এই উদ্বেগ ধীরে ধীরে মনকে ঘেঁটে ফেলতে শুরু করে, যা কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
অবসাদ
তৃতীয় ‘ভিলেন’ হলো অবসাদ। অবসাদের কারণে আত্মবিশ্বাস খুব কমে যায় এবং নতুন কোনো কাজ শুরু করতেই ভয় বা আতঙ্ক বাসা বাঁধে মনের মধ্যে। ব্যর্থতার আশঙ্কা ও নেতিবাচক চিন্তাভাবনা কাজ শুরু করার আগেই আমাদের থমকে দেয়। এর ফলে অনেকেই অলস হয়ে পরেন এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

‘লোক কী বলবে’
চতুর্থ ও শেষ ভিলেন হলো ‘লোক কী বলবে’ এই চিন্তা। সমাজের প্রত্যাশার বোঝা নিয়ে আমরা প্রায়ই নিজের ইচ্ছা ও স্বপ্নকে তুচ্ছ করে ফেলি। অন্যের মতামতের ভয়ে কাজের প্রতি আমাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, যা অবসাদ ও হীনমন্যতার জন্ম দেয়।
ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী উপায় রয়েছে। প্রথমত, সফলতার জন্য বড় লক্ষ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বদলে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন। এতে জীবন অনেক সহজ ও নিয়ন্ত্রিত মনে হবে। দ্বিতীয়ত, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনার কাজ যতটা সম্ভব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তৃতীয়ত, সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দিনব্যাপী কাজের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন। নিয়মিত সময় মেনে কাজ করলে চাপ কমবে। শেষত, নিজেকে প্রেরণা দিন এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজন হলে মেডিটেশন বা ধ্যান করুন, যা মানসিক শান্তি ও শক্তি জোগাবে।
আরও পড়ুন: Rare Rose: ১ ক্যারট হীরের থেকেও দামি এই গোলাপ, কেনার কথা ভাবছেন?
সুতরাং, নিজের মন ও দেহকে সুস্থ রাখতে এই চারটি ভিলেনকে চেনা এবং মোকাবেলা করা খুবই জরুরি। সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে আপনি নিজেকে অলসতার জালে আটকে পড়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন এবং একটি সুষম ও সফল জীবন কাটাতে সক্ষম হবেন।