ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা (Overcoming Obstacles)। সবার কাছে যেন অবহেলার পাত্রী। কিন্তু এক নিমিষেই সুরাহা। দিদিকে বলোতে ফোন করতেই পাল্টে গেল জীবন।
যুবতীর পাশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Overcoming Obstacles)
শরীরে বিন্দু মাত্র ক্ষমতা (Overcoming Obstacles) নেই সোজা হয়ে দাঁড়ানোর। শুধুমাত্র মনের জোর আর সাহস নিয়ে জীবন যুদ্ধে একাই লড়ে চলেছেন দিব্যাঙ্গ যুবতী বেলা খাতুন। তবে এই লড়াইয়ে একমাত্র পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক ফোনে বদলে গেল জীবন (Overcoming Obstacles)
একটি মাত্র ফোনেই পাল্টে গেল জীবনের ছন্দ। সেই ছোটবেলা থেকেই দুটি পায়ে জোর না থাকলেও (Overcoming Obstacles) মনের জোর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক এবং তারপরে স্নাতক পাস করেছে সে। চরম প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও পাশে থাকেনি কেউ। একমাত্র ভরসা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: International human rights Day: মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদান, সম্মানিত কলকাতার বরুণ কুমার দাশ
দিদিকে বলোতে সমাধান
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর “দিদিকে বলো” তে ফোন করেই এতদিন পর নজির গড়লেন তিনি। পেলেন চাকরি। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলায়। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে এখন আশার আলো দেখাচ্ছে স্নাতক পাস বেলা। ছোট থেকেই পিতৃহারা বেলা খাতুন পায়নি তার বাবার আদরের স্বাদ। দাদু ঠাকুমা এবং মায়ের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে সবাইকে দেখাচ্ছেন আশার আলো। ছোটবেলায় পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছর বয়স থেকে হারিয়েছে চলার ক্ষমতা। তবে সেই থেকেই মনের অদম্য জেদ নিয়ে এগিয়ে চলেছে সে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মলিগ্রাম অঞ্চলের পাঁচথুবি এলাকার বাসিন্দা বেলা খাতুন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: দু’দিনের দিঘা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, করবেন জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে
“দিদিকে বলো”তে ফোন করেই চাকরি
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে মাথায় না নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে যান অফিস। কাজ করেন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে। মুখ্যমন্ত্রীর “দিদিকে বলো” তে ফোন করে নিজের প্রতিবন্ধকতা এবং পারিবারিক আর্থিক স্থিতিলতার কথা জানিয়ে পেয়েছে চাকরি। তবে আগামী প্রজন্মকে দিচ্ছেন সমাজে এগিয়ে আসার বার্তা। প্রতিবন্ধকতাকে না ভেবে মনের জোর এবং ইচ্ছে শক্তি নিয়েই এগিয়ে চলার প্রেরণা বেলা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে এগিয়ে চলার পথে কোনও বাধা হতে পারে না তা আরেকবার প্রমাণ করেছে প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে। সারা সমাজের কাছে হয়ে রইলেন অনুপ্রেরণা।