ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার (Pahalgam Terror Attack) পহেলগাঁও এলাকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই কড়া পদক্ষেপ নিল নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জন সন্দেহভাজন লশকর-এ-তইবা জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, এই দুই ব্যক্তি, আদিল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ, ওই হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা আদিল ও আসিফ জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল (Pahalgam Terror Attack)
গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো (Pahalgam Terror Attack) গুলিচালনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের, যার মধ্যে ২৫ জনই পর্যটক ছিলেন। হামলার পর তদন্তে উঠে আসে যে স্থানীয় বাসিন্দা আদিল ও আসিফ হামলায় জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল। তারা বহিরাগত জঙ্গিদের স্থানীয় পথঘাট চিনিয়ে দেয়, যাতে তারা সহজেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহ (Pahalgam Terror Attack)
প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, আদিল ঠোকর নামে অভিযুক্ত জঙ্গি ২০১৮ সালে অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের (Pahalgam Terror Attack) বিভিন্ন এলাকায় গত এক বছর ধরেই সক্রিয় ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহ, পহেলগাঁও এবং বৈসরন এলাকায় আদিলের জ্ঞানের সুবিধা নিয়েই হামলা চালানো হয়েছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা
হামলার ঠিক পরদিন গভীর রাতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় আদিলের বাড়ি। তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় আসিফ শেখের বাড়িটিও। দুই ক্ষেত্রেই প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যারা সন্ত্রাসে যুক্ত থাকবে কিংবা সাহায্য করবে, তাদের জন্য কাশ্মীরে কোনও জায়গা নেই।
জঙ্গিদের মদতদাতাদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
এই ঘটনার ঠিক আগে বিহারে একটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘ভারত প্রত্যেক জঙ্গিকে খুঁজে বার করবে এবং তাদের এমন শাস্তি দেবে যা কল্পনারও বাইরে।’’ একইসঙ্গে তিনি জঙ্গিদের মদতদাতাদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: Weather Update: দহন জ্বালা কাটিয়ে নামবে কি স্বস্তির বৃষ্টি? কী বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস?
কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বান্দিপোরার বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে তল্লাশি অভিযান, গুলির লড়াই এখনও অব্যাহত। সেনা ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা দেখিয়ে দিচ্ছে, এ বার কেন্দ্র আর কোনওভাবেই নরম মনোভাব রাখতে রাজি নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে অটল কেন্দ্রীয় সরকার ও সেনা।