ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত(Pahalgam Terror Attack)। এবার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল ভারতের (Narendra Modi) বিদেশ মন্ত্রক—পাকিস্তানি নাগরিকদের দেওয়া সমস্ত ভিসা বাতিলের ঘোষণা। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে সময়সীমাও। বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শ, পাকিস্তানে এখন আর কোনও ভারতীয়র যাওয়া চলবে না, আর যারা বর্তমানে সে দেশে অবস্থান করছেন, তাঁদের অবিলম্বে ফিরে আসতে হবে।
ভিসা বাতিল (Pahalgam Terror Attack)
বিদেশ মন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে দেওয়া সব রকম বৈধ ভিসা ২৭ এপ্রিল ২০২৫ থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে(Pahalgam Terror Attack)। তবে কিছু মানবিক বিবেচনায় যারা মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তাঁদের জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যেই পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রক ভারতীয় নাগরিকদের উদ্দেশে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে—বর্তমানে কেউ যেন পাকিস্তানে সফর না করেন। পাকিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কূটনৈতিক পদক্ষেপ (Pahalgam Terror Attack)
এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-পাক সম্পর্ক আরও সংকটের দিকেই এগোল(Pahalgam Terror Attack)। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি পাঁচটি কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে:
১. সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত: ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক চুক্তি স্থগিত রেখে জলসম্পদ ব্যবহারে কৌশলগত চাপ বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটছে ভারত।
২. অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ: ১ মে পর্যন্ত সীমান্তপথে প্রবেশ করা যাত্রীদের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা।
৩. ‘সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্প’ বাতিল: এসভিইএস ভিসার আওতায় থাকা সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ।
৪. দূতাবাসে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার: ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির দূতাবাসে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উপদেষ্টাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
৫. দূতাবাসের কর্মীসংখ্যা কমানো: ভারতীয় দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে নামিয়ে ৩০ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলি কার্যকর হবে ১ মে ২০২৫ থেকে।

পাকিস্তানের উপর চাপ(Pahalgam Terror Attack)
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ কেবল প্রতীকী নয়, বরং কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরির বাস্তব কৌশল(Pahalgam Terror Attack)। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের মতো পদক্ষেপ পাকিস্তানের কৃষি ও অর্থনীতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।সরকারের কড়া বার্তায় স্পষ্ট—জঙ্গি হামলা বা তার মদতদাতাদের আর কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না ভারত। আগামী দিনে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও একঘরে করতে সক্রিয় হবে নয়াদিল্লি, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।এবার শুধু প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা—পাকিস্তান কীভাবে সামাল দেয় এই কূটনৈতিক চাপে, এবং ভারত তার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আর কী ভাবছে, তার দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।